ঘূর্ণিঝড় ‘রিমেল’: খুলনায় প্রস্তুত ৬০৪টি আশ্রয়কেন্দ্র
১৯ মে ২০২৪ ২০:৫৭
খুলনা: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘রিমেল’ আগামী শুক্রবার দিবাগত রাত অথবা শনিবার সকালে খুলনা জেলার কয়রা, পাইকগাছা, দাকোপসহ বিভিন্ন উপজেলায় আঘাত হানতে পারে। এজন্য উপজেলাগুলোতে ৬০৪টি আশ্রয়কেন্দ্র ও তিনটি মুজিবকেল্লা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন উপজেলায় পাঁচ হাজার দুইশত ৮০ জন স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছেন।
রোববার (১৯ মে) খুলনা জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন তার সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় এ তথ্য জানান। এ সময় তিনি ঘূর্ণিঝড়সহ যেকোনো দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের নিদের্শ দেন।
এ সময় জেলা প্রশাসক বলেন, ‘আগামী ২১ মে দ্বিতীয় পর্বে খুলনা জেলার দিঘলিয়া, তেরখাদা ও ফুলতলা উপজেলায় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন-২০২৪ অনুষ্ঠিত হবে। সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে। এক্ষেত্রে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।’
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) তানভীর আহমদ সভায় জানান, গত মাসে জেলা পুলিশের অধিক্ষেত্রে ২৫৩টি মামলার মধ্যে ১৫৬টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। দু’টি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। যার মধ্যে দেশীয় একটি পাইপগান ও একটি শুটারগান। গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে আট কেজি, গাঁজার গাছ আটটি, ইয়াবা ট্যাবলেট দুইশত ২৮টি।
তিনি আরও জানান, আগামী ২১ মে দ্বিতীয় পর্বে খুলনা জেলার দিঘলিয়া, তেরখাদা ও ফুলতলা উপজেলায় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনকালীন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রায় এক হাজার ৮৬৩ জন সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন।
জেলা নির্বাচন অফিসার ফারাজী বেনজীর আহম্মেদ সভায় জানান, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় আগামী ২১ মে খুলনা জেলার তেরখাদা, দিঘলিয়া ও ফুলতলা উপজেলায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। নির্বাচনি সরঞ্জাম কেন্দ্রে কেন্দ্রে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। নির্বাচনকালীন প্রায় সাড়ে তিন হাজার ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তা ভোট কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করবেন।
সভায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন সভায় জানান, শতভাগ বোরো ধান কাটা সম্পন্ন হয়েছে। এই ধান থেকে দুই লাখ ৯৮ হাজার ৭৬০ মেট্রিক টন চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী এক মাসের মধ্যে চার হাজার ৫০০ কৃষকের মাঝে দুই লাখ ২৫ হাজার নারিকেল চারা বিতরণ করা হবে। কৃষকপ্রতি পাঁচটি করে নারিকেল গাছের চারা পাবেন।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. শরিফুল ইসলাম সভায় জানান, আসন্ন কোরবানির ঈদে খুলনায় পর্যাপ্ত পরিমাণে গবাদিপশু মজুত রয়েছে। খুলনা জেলায় কোরবানিযোগ্য গবাদিপশুর মধ্যে গরুর সংখ্যা ৬৭ হাজার ৫৪টি। এ ছাড়া, ছাগল/ভেড়ার সংখ্যা ৮৯ হাজার ২২৪টি।
সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. নাজমুল হুসেইন খান, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. শেখ মোহাম্মদ কামাল হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন সরকারি দফতরের কর্মকর্তারাসহ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/পিটিএম