নিয়ন্ত্রণ হারানো লরির ধাক্কায় প্রাণ গেল ৩ জনের
১৮ মে ২০২৪ ১৪:১৩ | আপডেট: ১৮ মে ২০২৪ ১৭:০৬
চট্টগ্রাম ব্যুরো : চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গায় নিয়ন্ত্রণ হারানো লরির ধাক্কায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে একই ঘটনায় স্বামী-স্ত্রী ও তাদের এক আত্মীয়ের শিশুসহ তিন জন মারা গেলেন।
শনিবার (১৮ মে) দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাসফিয়া (২০) নামে এক তরুণীর মৃত্যু হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে। মারা যাওয়া অপর দু’জন হলেন- তাসফিয়ার স্বামী আসাদুজ্জামান সানি (২১) ও তার বোনের ছেলে নাজমুস সাকিব (৮)।
এ ছাড়া, আহত অবস্থায় চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন আরও তিন জন। তারা হলেন- তাসফিয়ার বড় বোন ও সাকিবের মা নুসরাত (৩৫) এবং মো. ইমরান (৮) ও নুরুল আমিন (২১)।
এর আগে, শুক্রবার (১৭ মে) রাত ৮টার দিকে নগরীর শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসংলগ্ন বাটারফ্লাই পার্কের সামনে সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি লরি উল্টে পুকুরে গিয়ে পড়ে। লরির ধাক্কায় পথচারীদের মধ্যে পাঁচ জন গুরুতর আহত হন। তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ছাড়া, লরির ধাক্কায় শিশু নাজমুস সাকিব সড়কের পাশে ওই পুকুরে পড়ে নিখোঁজ হয়। ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল তল্লাশি চালিয়ে রাত পৌনে ১২টায় তাকে পুকুর থেকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে বলে জানান পতেঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কবিরুল ইসলাম।
আহতদের মধ্যে আসাদুজ্জামান সানিকে চমেক হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আর চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার দুপুর ১টার দিকে তার স্ত্রী তাসফিয়ার মৃত্যু হয়েছে বলে জানান ওসি।
ওসি কবিরুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘সানি ও তাসফিয়ার তিন মাস আগে বিয়ে হয়েছে। তারা শুক্রবার সকালে পতেঙ্গার নাজিরপাড়া এলাকায় তাসফিয়ার বোন নুসরাতের বাসায় বেড়াতে গিয়েছিলেন। বিকেলে নুসরাত ও তার ছেলে নাজমুস সাকিবকে নিয়ে তারা নেভালে বেড়াতে যান। সড়কের পাশ দিয়ে হাঁটার সময় নিয়ন্ত্রণ হারানো লরির ধাক্কায় তারা চারজনসহ মোট পাঁচজন আহত হন। সাকিবকে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে লরিটি পুকুরে পড়ে যায়। ফায়ার সার্ভিসের টিম এসে লরি উদ্ধারের পর সেখানে মৃত অবস্থায় সাকিবকে পাওয়া যায়।’
সারাবাংলা/আরডি/পিটিএম