Tuesday 07 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

লংগদুতে প্রতিপক্ষের গুলিতে ২ ইউপিডিএফ কর্মী নিহত

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
১৮ মে ২০২৪ ১৩:০৮ | আপডেট: ১৮ মে ২০২৪ ১৬:২৬

লংগদু থানা। ফাইল ছবি

রাঙ্গামাটি: জেলার লংগদু উপজেলায় প্রতিপক্ষের গুলিতে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) দুই কর্মী নিহত হয়েছেন।

শনিবার (১৮ মে) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার বড় হাড়িকাবার ভালেদি ঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

গুলিতে নিহত দু’জন হলেন- ইউপিডিএফ সদস্য বিদ্যাধন চাকমা (৪৫) ও সমর্থক ধন্য মনি চাকমা (৩৫)। বিদ্যাধন চাকমা লংগদু উপজেলার কাট্টলী কুকিছড়া গ্রামের সময় মনি চাকমার ছেলে। ধন্য মনি চাকমা বড় হাড়িকাবার ধুধুকছড়া গ্রামের লেংগ্যা চাকমার ছেলে।

এ ঘটনায় সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতিকে (জেএসএস) দায়ী করেছে ইউপিডিএফ। গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ইউপিডিএফ দাবি করে বলেছে, হামলায নেতৃত্ব দেন পোয়া চাকমা ওরফে আপন (৩২)। আপন বড় হাড়িকাবার পাশের কুট্টছড়ি গ্রামের লক্ষ্মী মনি চাকমার ছেলে। তবে জেএসএস এই হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

এক বিবৃতিতে ইউপিডিএফ’র রাঙ্গামাটি জেলা ইউনিটের সংগঠক সচল চাকমা জানান, জেলার লংগদুতে জেএসএস সন্তু গ্রুপের সন্ত্রাসী কর্তৃক ইউপিডিএফ’র এক সদস্য ও এক সমর্থককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। সকাল সাড়ে ৮টার সময় লংগদুর বড়হাড়িকাবার ভালেদি ঘাটের পার্শ্ববর্তী স্থানে সন্তু গ্রুপের সাত জনের সশস্ত্র একটি দল এসে সেখানে সাংগঠনিক কাজে নিয়োজিত ইউপিডিএফ কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এতে ঘটনাস্থলেই ইউপিডিএফ সদস্য বিদ্যা ধন চাকমা ও সমর্থক ধন্য মনি চাকমা নিহত হন।

বিবৃতিতে এ ঘটনাকে ‘কাপুরুষোচিত ও ন্যাক্কারজনক’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ইউপিডিএফ’র নেতৃত্বে সিএইচটি রেগুলেশন ১৯০০ বাতিলের ষড়যন্ত্রসহ বান্দরবানে বম জাতিসত্ত্বার ওপর নিপীড়ন-নির্যাতনের বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলনে বাধা সৃষ্টির লক্ষ্যে সরকারের কৃপা লাভের আশায় সন্তু লারমা ফের তার খুনি বাহিনীকে দিয়ে ইউপিডিএফ’র কর্মী-সমর্থকদের ওপর হত্যাযজ্ঞ শুরু করেছেন। তার নির্দেশে আজ লংগদুতে ইউপিডিএফ’র এক কর্মী ও এক সমর্থককে হত্যা করা হয়েছে।’ পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের কাছে সন্তু লারমা একজন খুনি হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবেন বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।

বিজ্ঞাপন

যদিও হত্যাকাণ্ডে নিজেদের সম্পৃক্ততার অভিযোগ অস্বীকার করে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) লংগদু উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মনি শংকর চাকমা বলেন, ‘ওই এলাকায় আমাদের কোনো সাংগঠনিক কার্যক্রম নেই। আমাদের জড়িত থাকার কোনো কথাই আসেনি। এটা এক ধরনের জিঘাংসার কথা। এটা তাদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলও হতে পারে।’

এদিকে, রাঙ্গামাটির পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, লংগদুতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে দু’জন নিহতের খবর পেয়েছি। ওসি ঘটনাস্থলের দিকে যাচ্ছেন। ফিরে এলে বিস্তারিত জানা যাবে।

সারাবাংলা/পিটিএম

ইউপিডিএফ টপ নিউজ নিহত লংগদু

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর