Wednesday 08 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সাংবাদিক-পুলিশের ওপর হামলাকারী ইউপি চেয়ারম্যান বরখাস্ত

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
১৬ মে ২০২৪ ১৮:১৪ | আপডেট: ১৬ মে ২০২৪ ২০:৩২

মুন্সীগঞ্জ: মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র দখল, ব্যালট ছিনতাই, সাংবাদিক ও পুলিশ ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর, ককটেল বিস্ফোরণ করে নির্বাচনি কাজে হস্তক্ষেপের অভিযোগে হোসেন্দি ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল হক মিঠুকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুরে বরখাস্তে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মুন্সিগঞ্জ স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক মো. জুবায়ের। তিনি জানান, নির্বাচনি কাজে হস্তক্ষেপ করার অভিযোগে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের আদেশে মনিরুল হককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

গত ৮ মে প্রথম ধাপে অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সে নির্বাচনে হোসেন্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল হক, তার ভাই গাজীপুর আঞ্চলিক মসলা গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ইকবাল হক ও ভাতিজা তানভীর হকরা ওই ইউনিয়নের ভবানীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে প্রভাব বিস্তার করতে কেন্দ্রের বাইরে জড়ো হচ্ছিলেন। ভোটকেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্য সোহেল রানা সবাইকে সরে যেতে বলেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে চেয়ারম্যান মনিরুল হকের নির্দেশে সোহেলকে মারধর শুরু করেন তার ভাতিজা তানভীর এবং তাদের লোকজন। ওই ঘটনার সময় পাশ থেকে ছবি ও ভিডিও করছিলেন গোলজার হোসেন। পরে তারা গোলজারের ওপর হামলা করেন। তার মুঠোফোন, পকেটে থাকা টাকা, আইডি ও পর্যবেক্ষক কার্ড ছিনিয়ে নিয়ে মারধর করতে থাকেন। অন্য সাংবাদিকেরা এসে তাকে উদ্ধার করেন। পরে সাংবাদিকেরা ভোটকেন্দ্রের ভেতর আশ্রয় নেন। সেখানে তাদের মারধরের জন্য তেড়ে আসেন মনিরুল হক, তার ভাই ইকবাল হক সহ তাদের লোকজন। সাংবাদিকদের হত্যা ও হাত-পা কেটে ফেলার হুমকি দেন তারা।

বিজ্ঞাপন

একই দিন হোসেন্দি বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে দখল, ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে সিল মারেন মনিরুল হকের লোকজন। পুলিশ বাধা দিলে ককটেল ফাটিয়ে, তাদের উপর অস্ত্র নিয়ে হামলাচায় মনিরুল হকরা। এতে পুলিশের দুই সদস্যকে পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে পুলিশের গাড়িও ভাঙচুর করে তারা। এ ঘটনার পর দিন বৃহস্পতিবার পুলিশ এবং সাংবাদিক গোলজার হোসেন আলাদাভাবে বাদি হয়ে চেয়ারম্যান মনিরুল হককে প্রধান আসামি করে দুটি মামলা করে। এ দুটি মামলা ২১৮ জনকে আসামি করা হয়।

১১ মে শনিবার রাত ৯টার দিকে ঢাকার শাহজাহানপুরের একটি বাড়ি থেকে মনিরুল হককে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরদিন রোববার দুপুরে তাকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মহিদুল ইসলাম। পরে শুনানি শেষে এক দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন গজারিয়ার আমলী আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রহিমা আক্তার।

এদিকে পুলিশ ও সাংবাদিকের দুই মামলায় শুধু ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল হককে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও অন্য আসামিদের গ্রেফতার করতে না পারায় এবং ইকবাল হককে আইনের আওতায় না আনায় আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন মুন্সীগঞ্জের সংবাদ কর্মীরা।

এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসলাম খান বলেন, ‘পুলিশ- সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।’

সারাবাংলা/একে

ইউপি চেয়ারম্যান টপ নিউজ পুলিশ হামলা

বিজ্ঞাপন

৭ বছর পর মা-ছেলের সাক্ষাৎ
৮ জানুয়ারি ২০২৫ ১৬:৩৮

লন্ডনে পৌঁছেছেন খালেদা জিয়া
৮ জানুয়ারি ২০২৫ ১৬:১২

আরো

সম্পর্কিত খবর