যশোরে নির্বাচনি অফিসকে কেন্দ্র করে হামলায় আহত ৬
১৬ মে ২০২৪ ১০:১৩ | আপডেট: ১৬ মে ২০২৪ ১১:০০
বেনাপোল: যশোরের শার্শা উপজেলায় আসন্ন নির্বাচনের নির্বাচনি অফিস করাকে কেন্দ্র করে বর্তমান চেয়ারম্যান সমর্থকদের হামলায় সাবেক চেয়ারম্যানসহ অন্তত ছয়জন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত একজনকে আটক করা হয়েছে।
বুধবার (১৫ মে) রাত ৯ টার দিকে উপজেলার গোগা বাজারে হামলার এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ (৬০), ইউনিয়ন যুব লীগের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দীন (৪৪), গোগা এলাকার জয়নালের ছেলে জুলফিকার আলী ভুট্রো (৪০), একই এলাকার নুর ইসলামের ছেলে আব্দুল ওহাব (৪৫) ও ইদ্রিস (৪৫) ।
স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, প্রায় ৩/৪ মাস আগে গোগা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান তবিবর রহমানসহ তার লোকজন সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদের গোগা বাজারের একটি মুদি দোকান জোরপূর্বক দখল করে নেয় এবং দোকানটি তালা দিয়ে চাবি বাজার কমিটির সেক্রেটারি ও ইউনিয়ন যুব লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলীর কাছে রাখেন।
বুধবার (১৫ মে) রাতে রশিদ চেয়ারম্যান এবারের উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সোহারাব হোসেনের পক্ষে ওই দোকানটিতে নির্বাচনি অফিস করতে মোহাম্মদ আলীর কাছে দোকানের চাবি চাইলে তিনি দিতে রাজি হননি। এ সময় রশিদ চেয়ারম্যান ওই দোকানের তালা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করেন এবং চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সোহরাব হোসেনের নির্বাচনি অফিস হিসেবে ঘোষণা করেন। এ সময় খবর পেয়ে তরিকুল মেম্বার, বাবুল, শাহ আলম মেম্বার, সাহেব আলীসহ আরও ১০/১২ জনের একটি বাহিনী লাঠি ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের উপর হামলা চালায়।
সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ বলেন, আমরা উপজেলা নির্বাচনে দোয়াত-কলম মার্কার প্রার্থী সোহারাব হোসেনের জন্য ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে ভোট চেয়ে করে গোগা বাজারে এসে জসিমের দোকানে বসে ছিলাম। এ সময় তবি ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী আমাদের উপর আতর্কিত হামলা চলিয়ে আমিসহ আমার ৫/৬ জন নেতা-কর্মীকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।
নাভারন সার্কেলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার নিশাত আল নাহিয়ান জানান, এ ঘটনায় রাতে থানায় একটি মামলা হয়েছে এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত একজনকে আটক করা হয়েছে। গোগা ও ভুলোট এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
সারাবাংলা/ইআ