বাণিজ্য বাড়াতে বিজিএমইএ নেতাদের সঙ্গে চীনা ব্যবসায়ীদের বৈঠক
১৩ মে ২০২৪ ২১:২৯ | আপডেট: ১৩ মে ২০২৪ ২১:৩২
ঢাকা: বিশ্বের নেতৃস্থানীয় চীনা পোশাক এবং টেক্সটাইল এন্টারপ্রাইজের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি উচ্চ-পর্যায়ের প্রতিনিধিদল পোশাক মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) পরিদর্শন করেছে।
সোমবার (১৩ মে) বিজিএমইএ অফিস পরিদর্শনকালে চীনা প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন চায়না ন্যাশনাল গার্মেন্টস অ্যাসোসিয়েশন (সিএনজিএ) এর এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট জি কিং। এ সময় বিজিএমইএ নেতাদের সঙ্গে চীনা ব্যবসায়ীদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে বিজিএমইএ পক্ষে নেতৃত্ব দেন সংগঠনটির সভাপতি এস এম মান্নান (কচি)।
আলোচনায় অংশ নেন বিজিএমইএ এর সিনিয়র সহ-সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম, সহ-সভাপতি আরশাদ জামাল (দীপু), সহ-সভাপতি (অর্থ) মো. নাসির উদ্দিন, সহ-সভাপতি আব্দুল্লাহ হিল রাকিব, পরিচালক মো. ইমরানুর রহমান ও পরিচালক মো. নুরুল ইসলাম।
ঢাকার উত্তরায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর সম্ভাব্য উপায়গুলো অনুসন্ধান করা। বৈঠকে উভয়পক্ষ শিল্প প্রবণতা নিয়ে অন্তর্দৃষ্টি বিনিময় করেন এবং পারস্পরিক সুবিধা নিয়ে আসবে এমন সম্ভাব্য ক্ষেত্রগুলোতে এক সঙ্গে কাজ করার সুযোগ অন্বেষণ করেন।
তারা সম্ভাব্য যৌথ উদ্যোগ, বিনিয়োগের সুযোগ এবং কৌশলগত অংশীদারিত্ব নিয়েও আলোচনা করেন। যার লক্ষ্য হলো প্রতিযোগিতামূলকতা বাড়ানো এবং পোশাক ও বস্ত্রখাতে টেকসই প্রবৃদ্ধি সহজ করা।
চীনা প্রতিনিধিদলটি পারস্পরিক শক্তিকে পুঁজি করে পোশাক শিল্পে উদ্ভাবন ও সাসটেইনেবিলিটি বাড়াতে বাংলাদেশি সরবরাহকারীদের সঙ্গে অংশীদারিত্ব বৃদ্ধিতে গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেন। বৈঠকে বিজিএমইএ নেতারা বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের সার্বিক দিকগুলো, সেইসঙ্গে দেশের শক্তিশালী অবকাঠামো, দক্ষ কর্মীবাহিনী এবং ব্যবসার অনুকূল পরিবেশ তুলে ধরেন। তারা বৈশ্বিক মান ও ভোক্তাদের প্রত্যাশার সাথে সামঞ্জস্য রেখে টেকসই চর্চা এবং নৈতিক উৎপাদনে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেন।
বিজিএমইএ নেতারা বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে ম্যান-মেইড ফাইবার ভিত্তিক ফ্যাব্রিক্স এর ক্রমবর্ধমান চাহিদার উল্লেখ করে, চীনা বিনিয়োগকারীদের টেক্সটাইল মেশিনারি, ম্যান-মেইড ফাইবার এবং কারিগরি টেক্সটাইল এবং পুনর্ব্যবহারযোগ্য শিল্পের মতো উদীয়মান খাতগুলোতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান। তারা শিল্পের বিকাশে প্রযুক্তিগত জ্ঞান এবং দক্ষতার গুরুত্ব স্বীকার করে, বাংলাদেশী কোম্পানিগুলোর উন্নয়নে সহায়তা করার জন্য সর্বোত্তম অনুশীলন এবং প্রযুক্তিগত জ্ঞান বিনিময়ের ওপর জোর দেন।
সারাবাংলা/ইএইচটি/একে