বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ধর্ষণ, মোংলার ওসিকে প্রত্যাহার
১৩ মে ২০২৪ ১৭:০২ | আপডেট: ১৩ মে ২০২৪ ১৮:৪৩
বাগেরহাট: বিয়ের আশ্বাস দিয়ে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে মোংলা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হিরন্ময় সরকারের বিরুদ্ধে। ন্যায় বিচার পাওয়ার জন্য মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, সহকারী পুলিশ সুপার ও পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই নারী।
এ ঘটনায় হিরন্ময় সরকারের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। তাকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে বাগেরহাট পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে।
রোববার (১২ মে) তাকে সংযুক্ত করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন বাগেরহাট জেলা পুলিশ (এসপি) মো. আবুল হাসনত খাঁন।
যশোর জেলার কোতোয়ালি থানার পাগলাদহ এলাকার বাসিন্দা ওই নারী লিখিত অভিযোগে বলেন, পাঁচ বছর আগে পুলিশ কর্মকর্তা হিরন্ময় সরকারের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। ওই সময় হিরন্ময় সরকার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) চাকরিতে ছিলেন।
হিরন্ময় সনাতন ধর্মাবলম্বী হয়েও নিজেকে মুসলিম ধর্মাবলম্বী বলেও জানান। গোপন রাখেন তার আগের সংসারের কথাও। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেম, পরে বিয়ের আশ্বাসে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
ওই নারী অভিযোগে আরও উল্লেখ করেন, তাদের এমন সম্পর্কের কিছুদিন পর তিনি গর্ভধারণ করেন। এ সময় নানা অজুহাত দেখিয়ে হিরন্ময় সরকার ভ্রূণ নষ্ট করেন। এরপর ওসি হিরন্ময় ওই নারীর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) যশোর থেকে এসে মোংলায় আবাসিক হোটেল টাইগারে অবস্থান করেন ভুক্তভোগী ওই নারী। পরে মোংলা থানায় গিয়ে বিষয়টি অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কে এম আজিজুল ইসলাম ও সহকারী পুলিশ সুপার মোংলা সার্কেল মুশফিকুর রহমান তুষারকে অবহিত করেন।
শনিবার (১১ মে) বিকেলে বাগেরহাট পুলিশ সুপারের (এসপি) কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেন ওই নারী। পরে পুলিশ সুপারের আশ্বাসে ওই নারী রোববার (১২ মে) মোংলা থেকে নিজ জেলা যশোর ফিরে যান।
বাগেরহাট জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) আবুল হাসনাত খাঁন বলেন, ‘এ বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তে প্রমাণিত হলে হিরন্ময় সরকারের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মোংলা থানার পুলিশ ওসি (তদন্ত) হিরন্ময় সরকার বলেন, ‘কয়েক মাস আগে তার সঙ্গে ওই নারীর পরিচয় হয়। ওই নারী শুধু বন্ধু ছিল।’
বিয়ের আশ্বাসে শারীরিক সম্পর্ক ও ওই নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেন মোংলা থানার পুলিশ ওসি (তদন্ত) হিরন্ময় সরকার।
সারাবাংলা/একে