Thursday 23 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘প্রতিবেশী দেশের দালালি করে সরকার টিকে থাকতে পারবে না’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১০ মে ২০২৪ ১৯:৪৯ | আপডেট: ১০ মে ২০২৪ ২০:৫১

ঢাকা: প্রতিবেশী দেশের দালালি করে সরকার বেশি দিন ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

শুক্রবার (১০ মে) বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘আমাদের হতাশ হওয়ার কারণ নেই। আমাদের কর্মীরা ক্লান্ত, কিন্তু হতাশ নন। আমাদের নেতা-কর্মীরা অত্যাচার-নির্যাতনকে সহ্য করে এখনও বুক টান করে দাঁড়িয়ে আছে স্বাধীনতা রক্ষায়। সুতরাং আমাদের স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়ার ক্ষমতা প্রতিবেশিদের নাই, কারও নাই।’

তিনি বলেন, ‘প্রতিবেশীদের দালালি করে শেখ হাসিনা বেশি দিন টিকতে পারবে না। যারা অন্যায়ভাবে ক্ষমতায় থাকে তাদের পরিণতিটা কী হয়, বিভিন্ন দেশের ইতিহাস পড়েন, তাহলে বুঝবেন। ক্ষমতাচ্যুতের পর কারও কাছ থেকে সাহায্য পাওয়ার, ক্ষমা চাওয়ার সুযোগ পাবেন না।’

গয়েশ্বর বলেন, ‘একটু আগে একজন (ওবায়দুল কাদের) বলছেন, বিএনপি চলে রিমোট কন্ট্রোলে? হ্যাঁ বিএনপি রিমোট কন্ট্রোলে চলে! রিমোট কন্ট্রোল কার হাতে? দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার হাতে, নয়তো বা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের হাতে। আপনাদের রিমোট কন্ট্রোলটা কোথায়? আপনাদের সরকারের রিমোট কন্ট্রোল কার হাতে? মোদির (ভারতের প্রধানমন্ত্রী) হাতে, না অজিত দোভালের (জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা) হাতে না, নাকি অমিত শাহের (স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী) হাতে? তাদের রিমোট কন্ট্রোলে আপনাদের চলতে হয়।’

তিনি বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের বলছিলেন না? সারা বিশ্বের মানুষ যেভাবে গণতন্ত্র গণতন্ত্র বলে ষড়যন্ত্র করছিল ভারত যদি আমাদের পাশে না থাকতো এই নির্বাচন আমরা করতে পারতাম না। তার মানে ভারতই আপনাদের রাখছে, ভারতই আপনাদের রাখবে, এই তো? তার মানে গণতন্ত্রের অবস্থা কী? বাই দ্যা পিপল, ফর দ্যা পিপল, অব দ্যা পিপল। আর আপনাদের কথা শুনে মনে হয়, ডেমোক্রেসি মিনস বাই দ্যা ইন্ডিয়া, ফর দ্যা ইন্ডিয়া, বাই দ্যা ইন্ডিয়া, নাকি? এর বেশি কিছু? মনে হয় না।’

বিজ্ঞাপন

মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালামের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, মহানগর বিএনপির আমিনুল হক, ইশরাক হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের এসএম জিলানি, যুব দলের এম মোনায়েম মুন্না, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাদেক আহমেদ খান, কৃষক দলের শহিদুল ইসলাম বাবুল, শ্রমিক দলের মোস্তাফিজুল করীম মজুমদার, জাসাসের জাকির হোসেন রোকন, ছাত্র দলের আবু আফসান মোহাম্মদ ইয়াহিয়াসহ অনেকে।

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি হাবিবুর রহমান হাবিব, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, আবদুস সালাম আজাদ, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, মীর সরাফত আলী সপু, আজিজুল বারী হেলাল, এবিএম মোশাররফ হোসেন, শামীমুর রহমান শামীমসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতারা।

সমাবেশের পর একটি মিছিল কাকরাইলের নাইটেঙ্গল রেস্টুরেন্ট মোড় হয়ে নয়া পল্টনের কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।

সারাবাংলা/এজেড/এমও

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় টপ নিউজ দালালি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর