‘দুর্বল ব্যাংকগুলোর ঋণ দেওয়ার ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে’
৯ মে ২০২৪ ১৯:৪৪ | আপডেট: ৯ মে ২০২৪ ২৩:০০
ঢাকা: দুর্বল ব্যাংকগুলোর ঋণ দেওয়ার ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণের পরামর্শ দিয়েছেন অর্থনীতিবিদ ড. সাদিক আহমেদ। তিনি বলেছেন, প্রয়োজনে দুর্বল রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকগুলোকে বাণিজ্যিকীকরণ করতে হবে। এ ছাড়া, আর্থিক খাত সংস্কারের বিকল্প নেই।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) এক বই আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিয়ে বইটি লিখেছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রানীতি প্রণয়ন (মনিটারি পলিসি) কমিটির সদস্য ও পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআরআই) ভাইস চেয়ারম্যান ড. সাদিক আহমেদ।
অনুষ্ঠানে সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘জন্মই যার আজন্ম পাপ- এমন অনেক উন্নয়ন প্রকল্প পাস করতে হয়েছিল পেশকার হিসেবে।’ এ ধরনের প্রকল্প নেওয়ার আগে বিবেচনার আহ্বান জানান তিনি।
আইএনএম’র নির্বাহী পরিচালক এম কে মুজেরী বলেন, ‘কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তা যেন কয়েকটা গ্রুপের জন্য না হয়। ব্যাংকি খাত দিনকে দিন রুগ্ণ হয়ে যাচ্ছে।’
পিআরআই’র চেয়ারম্যান জায়েদি সাত্তার বলেন, ‘রাজস্ব বাড়ার ঘটনায় এনবিআর’র একক কোনো কৃতিত্ব নেই। ৩০ শতাংশ অবমূল্যায়ন হয়েছে টাকার। কাজেই আয় বেড়েছে।’
আলোচনায় অংশ নিয়ে ড. সাদিক আহমেদ বলেন, ‘খেলাপি ঋণের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সরকারি ব্যাংকগুলো। এটি কোনো দুর্ঘটনা নয়, বরং এতে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ছিল। তাই খেলাপি ঋণের প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে কোনো সমাধানই কাজে আসবে না। এজন্য দুর্বল ব্যাংকগুলোর ঋণ দেওয়ার ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। প্রয়োজনে দুর্বল রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকগুলোকে বাণিজ্যিকীকরণ করতে হবে।’
সংস্কার পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে এই অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘২০০০ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ব্যাংক খাতে অনেক সংস্কার হয়েছে। কিন্তু পরবর্তী সময়ে সংস্কার কার্যক্রম থেমে যায়। কোনো ম্যাজিক দিয়ে ব্যাংকের সমস্যার সমাধান হবে না। মৌলিক পদক্ষেপগুলো নিতে হবে।’
মূল্যস্ফীতি নিয়ে পিআরআই ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমদানির কারণে আমাদের দেশে মূল্যস্ফীতি বাড়েনি। এর প্রধান কারণ ছিল করোনাকালীন সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া বিভিন্ন প্যাকেজ। এসব প্যাকেজের কারণে বাজারে ৩৪ শতাংশ পর্যন্ত তারল্য প্রবাহ বেড়ে গিয়েছিল। এসব অতিরিক্ত তারল্য সাসটেইনেবল না।’
সারাবাংলা/জেজে/পিটিএম