তেল আমদানি করে আমরা অর্থ পরিশোধ করতে পারছি না: দেবপ্রিয়
৭ মে ২০২৪ ১৬:১৪
ঢাকা: সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো ও এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশের আহ্বায়ক ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, আমাদের একটা গর্ব ছিল, বিদেশি ঋণ নিয়ে কখনো খেলাপি হইনি আমরা। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে তেল আমদানি করে আমরা অর্থ পরিশোধ করতে পারছি না। বিদেশিরা মুনাফা নিতে পারছে না। এয়ারলাইন্স ব্যবসায়ীরা অর্থ পাচ্ছে না।
‘তার মানে গর্বের জায়গায় ফাটল ধরেছে। এ সব তথ্য উপাত্ত বাংলাদেশ ব্যাংক দেয়। সেখানে সাংবাদিক প্রবেশ নিষেধ। তার মানে সেখানে ‘ডাল মে কুচ কালা হে’। এখন এটি কি মসুর ডাল না কি মুগ ডাল নাকি সব জায়গায় ডাল। এটিই এখন বুঝার বিষয়।’
মঙ্গলবার (৭ মে) রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেনের স্মরণে ‘মোয়াজ্জেম হোসেন স্মারক বক্তৃতা’ অনুষ্ঠানে এ সব কথা বলেন তিনি। ইআরএফ‘র সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশ নেন সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাকালীন আহ্বায়ক ও ইংরেজি দৈনিক দ্য ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ এবং ইআরএফ সভাপতি রেফায়েত উল্লাহ মীরধা।
ড. দেবপ্রিয় বলেন, ‘জনমানুষের প্রত্যাশার জায়গা, তথ্য-উপাত্তের বড় স্তম্ভ বাংলাদেশ ব্যাংক। আমরা বিবিএসর তথ্যের আগেই রফতানি-আমদানিসহ আর্থিক সূচক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যের ওপরে নির্ভর ছিলাম। এখন কেন তথ্যের অপঘাত করা হলো, এতে সুনামহানি ঘটবে বাংলাদেশ ব্যাংকের!’
ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘তথ্য কেউ পাচ্ছে, কেউ পাচ্ছে না। আজ ব্যবসায়ীরা তথ্য পাচ্ছে অথচ সাংবাদিকরা পাচ্ছে না। ব্যবসায়ীকে তথ্য দিলে তো বাজার এর প্রভাব পড়ে, দাম বেড়ে যায়। বাংলাদেশ ব্যাংক রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান। সাংবাদিকদের সেখানে প্রবেশ করতেই দেওয়া হচ্ছে না। কেন, তথ্য প্রকাশ হলে বড় ধরনের নাশকতা হবে? নাশকতাকারী কি অর্থনৈতিক সাংবাদিক?’
তিনি বলেন, ‘দেশ এখন এলডিসির দিকে যাচ্ছে। সরকার ডিজিটাল ও স্মার্ট বাংলাদেশ বলছে।’ এই সময় তথ্যের নৈরাজ্য সম্পূর্ণভাবে সাংঘর্ষিক বলে মন্তব্য করেন সিপিডির এ সম্মানীয় ফেলো।
সাংবাদিক মোয়াজ্জেম হোসেন স্মরণে তিনি বলেন, ‘ইংরেজি দৈনিক ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সদ্যপ্রয়াত সম্পাদক এ এইচ এম মোয়াজ্জেম হোসেন পুরোপুরি পেশাদার ও পরিশুদ্ধ সাংবাদিক ছিলেন। সততা, নৈতিকতার সঙ্গে পুরোপুরি পক্ষপাতহীনভাবে সবসময় দায়িত্ব পালন করেছেন। অর্থনীতির সাংবাদিকতার পুরোধা ছিলেন তিনি।’
সারাবাংলা/জিএস/একে