৯০০ মরদেহের ৮৩৫টিরই ডকুমেন্ট দেখাতে পারেনি মিল্টন, রাতেই মামলা
১ মে ২০২৪ ২২:৩৪ | আপডেট: ২ মে ২০২৪ ০৯:২৮
ঢাকা: আটকের পর ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে মানবপাচার, অবৈধভাবে মরদেহ দাফন, টর্চার সেল, আয়ের উৎসসহ বেশকিছু অভিযোগ রয়েছে বলে দাবি করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। সবচেয়ে বড় অভিযোগ, ৯০০ মরদেহের ৮৩৫টির ডকুমেন্ট দেখাতে পারেনি মিল্টন।
আর এসব অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার (১ মে) রাতেই রাজধানীর মিরপুর মডেল থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করবে বলে জানান গোয়েন্দাপ্রধান ও অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। মিল্টন সমাদ্দারকে আটকের পর এদিন রাতে রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ বিষয়ে ব্রিফ করেন তিনি।
ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদ বলেন, ‘মিল্টন সমাদ্দারকে আমরা আটক করেছি। মামলার পর তাকে গ্রেফতার দেখানো হবে এবং আগামীকাল তাকে রিমান্ড চেয়ে আদালতে তোলা হবে। তার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ। তার বাড়ি বরিশালের উজিরপুরে। বাবাকে পেটানোর কারণে এলাকাবাসী তাকে এলাকা ছাড়া করে।’
মুখোশের আড়ালে ‘ভয়ংকর’ মিল্টন, যত অভিযোগ
হারুন অর রশীদ বলেন, ‘মিঠু হালদার নামে এক নার্সকে বিয়ে করেন মিল্টন সমাদ্দার। এরপরে তার মাথায় আসে ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ স্থাপন করবেন। স্ত্রীকে দিয়ে এমন একটি প্রতিষ্ঠান খুলে সেবা দিতে শুরু করেন তিনি। গণমাধ্যমে এসেছে তার একটি অপারেশন থিয়েটারের তথ্য। যেটার কোনো লাইসেন্স নেই।’
তিনি বলেন, ‘তার বিরুদ্ধে রাতে মরদেহ দাফনের অভিযোগ রয়েছে। তিনি ইতোমধ্যে ৯০০ মরদেহ দাফন করেছেন বলে মিডিয়ায় এসেছে। এর মধ্যে ৮৩৫টি মরদেহের কোনো ডকুমেন্ট তিনি দেখাতে পারেননি।’
এর আগে, সন্ধ্যায় রাজধানীর মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মিল্টন সমাদ্দারকে আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি মিল্টন সমাদ্দারের বিভিন্ন অপকর্ম নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। এরপর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে নিয়ে শুরু হয় সমালোচনার ঝড়। একে একে মুখ খুলতে থাকেন ভুক্তভোগীরা। যদিও কয়েকটি গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়ে তার বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মিল্টন সমাদ্দার।
সারাবাংলা/ইউজে/পিটিএম