মেয়র আসবে তাই ফাঁকা, চলে যেতেই পরিপূর্ণ ফুটপাত
২৯ এপ্রিল ২০২৪ ২১:২৩ | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ১১:০০
ঢাকা: দুপুরে আসার কথা ছিল ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলামের। তাই আগের রাতেই ফাঁকা হয়েছিল খিলগাঁও তালতলা মার্কেটের ভেতরের জায়গা ও সামনের ফুটপাত। তবে মেয়র এসে ফিরে যেতে না যেতেই একে একে বসতে শুরু করে ভাসমান ও অস্থায়ী হকাররা।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) খিলগাঁও তালতলা সিটি করপোরেশন সুপার মার্কেটকে সম্পূর্ণ ক্যাশলেস পরিশোধ ব্যবস্থায় অন্তর্ভুক্তির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তালতলা মার্কেটে আসেন মেয়র। এ ছাড়াও নিবন্ধিত রিকশাচালকদের মধ্যে বিনামূল্যে ছাতা ও স্যালাইন বিতরণ এবং ওয়াটার স্প্রে পরিদর্শনের পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচিও ছিল।
খিলগাঁও তালতলা মার্কেটের কয়েকটি ভবন দেওয়াল দিয়ে ঘেরা। ভবনগুলোর বাইরে মার্কেট চত্বরের ভেতরে শত শত অস্থায়ী দোকানে জুতা, ব্যাগ, কাপড়চোপড়, খেলনা, ফুল ও প্লাস্টিক সামগ্রী বিক্রি হয়। এ ছাড়াও, তেলে ভাজা, ফুচকা ও অন্যান্য খাবারের দোকানও রয়েছে। পাশাপাশি অসংখ্য ভাসমান দোকানও থাকে। মার্কেট চত্বরের ভেতর তো নয়ই, বাইরেও বসেনি কোনো দোকান। সাধারণ সময়ে ফুটপাতের প্রায় পুরোটাই ত্রিপল দিয়ে ঘিরে একাধিক দোকানে বিক্রি হয় জুতাসহ নানা পণ্য। তবে আজ একদম পরিষ্কার পুরো এলাকা।
শুধু চত্বরই নয়, খিলগাঁও তালতলা মার্কেটের বাইরের দিকে থাকা ভবনের দোকানগুলোও দখল করে রাখে পায়ে চলার পথ ও হাঁটার গলি। বাইরের দিকে জিনিসপত্র ঝুলিয়ে রেখে এসব জায়গা দখল করে রাখে তারা। কিন্তু আজ পুরো মার্কেটেই দেখা গেল শৃঙ্খলা। তবে মেয়র যেতে না যেতেই দোকানগুলোর বাইরে জিনিসের প্রদর্শনী শুরু হয়ে যায়। একে একে আসতে শুরু করে হকাররাও।
দোকানদার ও হকারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, মেয়র আসবে তাই গতরাতেই এসব এলাকা ফাঁকা করে পরিষ্কার করা হয়। দোকানের কর্মীরা বলছিল, আজ কী সুন্দর লাগে, বাতাস আসে। একটু পরেই তো গ্যাঞ্জাম হয়ে যাবে।
সারাবাংলা/আরএফ/পিটিএম