গাজায় যুদ্ধের সঙ্গে যোগ হয়েছে তাপপ্রবাহ, অন্তত দুই শিশুর মৃত্যু
২৯ এপ্রিল ২০২৪ ১৫:১৯ | আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ১৬:৫৪
যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে অন্তত দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ এ তথ্য জানিয়েছে।
ইউএনআরডব্লিউএ কমিশনার-জেনারেল ফিলিপ লাজারিনি এক বিবৃতিতে বলেছেন, অন্তত দুই শিশু গরমের কারণে মারা গেছে বলে আমরা রিপোর্ট পেয়েছি।
তিনি আরও বলেন, গাজাবাসীদের আর কী সহ্য করতে হবে: মৃত্যু, ক্ষুধা, রোগ, বাস্তুচ্যুতি এবং এখন জ্বলন্ত তাপে গ্রিন হাউজের মতো কাঠামোতে বাস করা।
ইসরাইলের হামলায় বিপর্যস্ত গাজায় মারাত্মক তাপপ্রবাহ নতুন দুর্যোগ হিসেবে যোগ হয়েছে। তাপপ্রবাহ থেকে বাঁচতে উপযুক্ত আবাসস্থলও নেই গাজাবাসীর। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো: এমন তাপমাত্রায় পানি ও অন্যান্য ওষুধের সংকট। যথেষ্ট পানি পান করতে পারছে না গাজার মানুষ। ইউএনআরডব্লিউএ বলেছে, তাপমাত্রা যত বাড়ছে, গাজায় মানুষের ততো খারাব হচ্ছে।
ইউএনআরডব্লিউএর বিবৃতিতে বলা হয়, বাস্তুচ্যুত লোকরা প্রতিদিন সর্বোচ্চ এক লিটার পানি পাচ্ছে। এই পানি দিয়ে তারা পিপাসা মেটাচ্ছে, গোসল করছে এবং অন্যান্য কিছু ধোয়ার থাকলে এই পানি থেকেই তা সারছে। যেখানে একজন মানুষের জন্য প্রতিদিন সর্বনিম্ন ১৫ লিটার পানির প্রয়োজন সেখানে তারা মাত্র ১ লিটার পাচ্ছে। সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাচ্ছে শিশুরা। আমাদের এখনই যুদ্ধবিরতি দরকার।
গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় হামলা চালিয়ে আসছে ইসরাইল। জাতিসংঘের মতে, ইসরাইলি যুদ্ধে ছয় মাসেরও বেশি সময়ে গাজার বিশাল অংশ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। গাজার জনসংখ্যার ৮৫ শতাংশই অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। ত্রাণ হিসেবে খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধ সেখানে খুব সামান্যই পৌঁছানো যাচ্ছে।
আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে ইসরাইল গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত হয়েছে। জানুয়ারিতে একটি অন্তর্বর্তীকালীন রায়ে তেল আবিবকে গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে এবং গাজার বেসামরিক নাগরিকদের মানবিক সহায়তা প্রদানের নিশ্চয়তা দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ইসরাইল কোনো আন্তর্জাতিক আহ্বানেই কান দিচ্ছে না।
সারাবাংলা/আইই