ফিলিপাইনে তাপপ্রবাহে স্কুল বন্ধ, ইন্দোনেশিয়ায় ডেঙ্গুর প্রকোপ
২৯ এপ্রিল ২০২৪ ১৭:৫৮ | আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ২০:০৯
তীব্র তাপপ্রবাহে ঝলসে যাচ্ছে দক্ষিণপূর্ব এশিয়া। ফিলিপাইনে তাপপ্রবাহের কারণে আগামী দুই দিন স্কুল বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। চরম তাপমাত্রায় গত সপ্তাহেও স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছিল। দেশটিতে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ায় লোডশেডিংও বেড়েছে।
রাষ্ট্রীয় আবহাওয়া সংস্থা সোমবার (২৯ এপ্রিল) পূর্বাভাসে বলেছে, আগামী তিন দিনের মধ্যে রাজধানী অঞ্চলের তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যেতে পারে।
সংস্থাটি বলেছে, তাপ সূচকে আপেক্ষিক আর্দ্রতা অন্তর্ভুক্ত করলে দেহে অনুভূত প্রকৃত তাপমাত্রা রেকর্ড হবে ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই আবহাওয়া বিপজ্জনক। দীর্ঘ সময় এমন আবহাওয়ায় থাকলে হিটস্ট্রোকের আশঙ্কা রয়েছে।
স্থানীয় ডিজেডবিবি রেডিও স্টেশনকে আবহাওয়াবিদ গ্লাইজা এসকুলার বলেছেন, মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত তাপ সূচক রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছাতে পারে।
এদিকে, দেশটির গ্রিড অপারেটর এক বিবৃতিতে বলেছে, ফিলিপাইনের রিজার্ভ সংকটের কারণে চলতি মাসের শুরুর দিকে ১৩টি বিদ্যুৎ প্রকল্পে উৎপাদন বন্ধ করা হয়েছিল। তাই এখন তাপপ্রবাহের মধ্যে প্রধান দ্বীপ লুজোনে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে। উল্লেখ্য যে, দ্বীপরাষ্ট্র ফিলিপাইনের অর্থনৈতিক উৎপাদনের চার ভাগের তিন অর্থনৈতিক উৎপাদন হয় লুজান দ্বীপে।
ফিলিপাইনের টিচার্স ডিগনিটি কোয়ালিশন নামক শিক্ষকদের একটি জোটের চেয়ারপার্সন বেঞ্জো বাসাস বলেছেন, প্রচণ্ড গরমে অনেক শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।
ডিডব্লিউপিএম রেডিও স্টেশনকে বাসাস বলেন, আমাদের ইতিমধ্যেই উচ্চ রক্তচাপ এবং মাথা ঘোরার মতো অসুস্থ বেড়েছে। ছাত্র ও শিক্ষকদের অজ্ঞান হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আদেশের আওতায় নেই এমন বেশ কয়েকটি বেসরকারি স্কুল এবং বিশ্ববিদ্যালয়ও অনলাইন ক্লাসে স্থানান্তরিত হয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ায়ও চরম আবহাওয়া বিরাজ করছে। সেদেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে গেছে। তীব্র গরমকে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাবের জন্য দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। গত মাসে ইন্দোনেশিয়ার সরকারি হিসাবে ৩৫ হাজার মানুষ ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। এক বছর আগে এই সংখ্যা ছিল ১৫ হাজার।
ইন্দোনেশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সিতি নাদিয়া টারমিজি রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আনতারা নিউজ এজেন্সিকে বলেছেন, এল নিনোর প্রভাবে শুষ্ক মৌসুম দীর্ঘায়িত হচ্ছে, ফলে মশার জীবনচক্রও দীর্ঘ হচ্ছে।
সারাবাংলা/আইই