Tuesday 22 Apr 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সন্ধ্যায়ও গাড়িতে ঠাসা সড়ক, যানজট-গরমে হাঁসফাঁস জনজীবন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২৫ এপ্রিল ২০২৪ ২০:০৩ | আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ০০:১৬

ঢাকা: অফিস ছুটি হয়েছে আরও দুই ঘণ্টা আগে। কিন্তু ঘরে পৌঁছুতেই কারও কারও আরও দুই ঘণ্টা লাগবে। রাজধানীর বাণিজ্যিক এলাকা মতিঝিলের সড়কগুলোর দৃশ্য এমনই। পুরা রাস্তা গাড়িতে ঠাসা রয়েছে। এগুচ্ছে একটু একটু করে। এদিকে, সূর্য ডুবলেও ভ্যাপসা গরমে যানবাহনের যাত্রীরা হাঁসফাঁস করছে। পুলিশ বলছে, সপ্তাহের শেষ দিন বলে আজ সড়কে গাড়ির চাপ বেশি।

বৃহস্পতিবার( ২৫ এপ্রিল) রাজধানীর প্রেসক্লাব, গুলিস্তান, মতিঝিল সড়কে প্রচণ্ড যানজট ছিল। সন্ধ্যা গড়িয়ে গেলেও বিকেলে যাত্রা করা অনেক গাড়িই থেমে ছিল দীর্ঘ সময়। চালকরা বলছেন, ঈদের পর এই প্রথম কোনো সন্ধ্যায় ভয়ানক যানজটে পড়তে হলো।

বিজ্ঞাপন

বলাকা বাসের চালক জসিম সারাবাংলাকে বলেন, ‘সন্ধ্যায় এমন যানজট এতদিন ছিল না। বিকেল থেকেই যানজট শুরু। গাজীপুর থেকে টঙ্গী আসছি অনেকটা ফাঁকা রাস্তায়। এরপর থেকে যানজট। মতিঝিলে এসে ফেঁসে গেলাম এক ঘণ্টার ফাঁদে।’

বিআরটিসি গাড়ির যাত্রী মোমেনা আক্তার বলেন, ‘৫টায় রওনা হয়েছি। এখনো মতিঝিল পার হতে পারিনি। শনির আখড়া পৌঁছাতে রাত হয়ে যাবে।’ বিকল্প বাসের চালক মহিউদ্দীন বলেন, ‘আরামবাগ মোড় ঘুরে বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে আসতে আধা ঘণ্টা লেগেছে। অথচ মাত্র পাঁচ মিনিটের পথ।’

যাত্রীরা বলছেন, এই গরমে যানজটে বসে থাকা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। নিউ ভিশন গাড়ির যাত্রী রায়হান বলেন, ‘এত এত উদ্যোগের পরও যানজট কমছে না। আজ যে জট লেগেছে তাতে মিরপুর পৌঁছাতে রাত ১০টা বেজে যাবে। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে ফেলেছে অত্যাধিক গরম।’

এদিকে, সন্ধ্যা হলেও চারিদিক থেকে ভ্যাপসা গরম অনুভূত হচ্ছে। আর এতে খেঁটে খাওয়া মানুষদেরই সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। রিক্সাচালক শহিদুল ইসলাম সারাবাংলার এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘পেটের দায় না থাকলে ঘর থেকে বের হতাম না। দিন চলে শুধু পানি খাওয়ার উপরে।’ কাভার্ডভ্যানচালক মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘গাড়িতে এসির ব্যবস্থা নেই। একদিকে গাড়ির ইঞ্জিনের গরম, অন্যদিকে বাইরের গরম। বোঝেন আমাদের পরিস্থিতি।’

বিজ্ঞাপন

প্রধান সড়কের যানজট ছড়িয়ে পড়েছে আশেপাশের গলিতেও। মতিঝিলের সড়কে যানজট থাকায় আরামবাগ, বাংলাদেশ ব্যাংকে পেছনের সড়ক, ইত্তেফাক, আর কে মিশন রোডেও তীব্র জট দেখা গেছে। বড় বড় বাস গলিতে ঢুকে পড়ায় ছোট ছোট গাড়িগুলোকে দীর্ঘ সময় জ্যামে থাকতে হয়েছে। জ্যাম ছাড়াতে স্থানীয়রা ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছেন কোথাও কোথাও।’

বৃহস্পতিবার বাণিজ্যিক এলাকায় এই যানজট নিয়ে ইত্তেফাক মোড়ে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিমের কর্মকর্তা সাইদুর রহমান সারাবাংলাকে বলেন, ‘সপ্তাহের শেষ দিনে সড়কে গাড়ির চাপ বেশি থাকে। এর নানা কারণ রয়েছে। সামনে দুই দিনের সাপ্তাহিক ছুটি। অনেকেই ভেবেছেন প্রয়োজনীয় কাজ আজই সেরে ফেলবেন। আবার কেউ কেউ ঢাকার বাইরে যাচ্ছেন। এসব কারণে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। তবে গরম মানুষের ভোগান্তি বাড়িয়েছে।’

এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের মোংলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। আর রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রার পারদ উঠেছে ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

সারাবাংলা/জেআর/পিটিএম

গরম টপ নিউজ যানজট হাঁসফাঁস

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর