শেয়ারের পতন ঠেকাতে দাম কমার সীমা নির্ধারণ করে দিল বিএসইসি
২৪ এপ্রিল ২০২৪ ২০:২৭ | আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ২২:২০
ঢাকা: পুঁজিবাজারে পতন ঠেকাতে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ সিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এখন থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত তালিকাভুক্ত সব কোম্পানির শেয়ারের দাম কমানোর ক্ষেত্রে ৩ শতাংশ সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। ফলে এখন থেকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোনো কোম্পানির শেয়ার একদিনে ৩ শতাংশেরে বেশি কমতে পারবে না। তবে শেয়ারের দাম বাড়ার ক্ষেত্রে আগের সর্বোচ্চ সীমা নির্দেশনায় বহাল রাখা হয়েছে। তবে ফ্লোরপ্রাইসে থাকা কোম্পানির ক্ষেত্রে নতুন এই সীমা প্রযোজ্য হবে না। বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছে বিএসইসি।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিএসইসি এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করেছে। বিএসইসির নতুন এই নির্দেশনা বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) থেকে কার্যকর করা হবে। বিএসইসি নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. রেজাউল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিএসইসির নির্দেশনা অনুসারে, একদিনে কোনো কোম্পানির শেয়ারের দাম সর্বোচ্চ ৩ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারবে। এর চেয়ে কম দামে কেউ শেয়ার বিক্রি বা কিনতে পারবে না। এর আগে, শেয়ারের বাজারমূল্যের আলোকে দাম সর্বনিম্ন ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারতো। তবে দাম কমার নতুন সীমা বেঁধে দেওয়া হলেও দাম বৃদ্ধির ক্ষেত্রে আগের সীমা-ই বহাল আছে। শেয়ারের আগের দিনের বাজার মূল্যের আলোকে পরদিন দাম সর্বনিম্ন ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারবে।
উল্লেখ্য, বিদ্যমান সার্কিটব্রেকার পদ্ধতিতে শেয়ারের দামের ভিত্তিতে দাম কমা-বাড়ার সীমা বেঁধে দেওয়া আছে। যেকোনো কোম্পানির শেয়ারের আগের দিনের ক্লোজিং মূল্যের আলোকে পরদিন এ সীমা প্রযোজ্য হয়। কোনো কোম্পানির শেয়ারের মূল্য ২০০ টাকার মধ্যে থাকলে পরদিন ওই শেয়ারের মূল্য সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে বা কমতে পারে। মূল্য ২০০ টাকার উপর থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত ৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ, ৫০০ টাকার উপর থেকে ১০০০ হাজার টাকা পর্যন্ত ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ, মূল্য ১০০০ টাকার উপর থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ, ২০০০ টাকার উপর থেকে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত ৫ শতাংশ এবং মূল্য ৫০০০ টাকার বেশি হলে ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ বাড়তে বা কমতে পারে।
সারাবাংলা/জিএস/পিটিএম