রুমা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সভাপতিসহ আরও ৭ কেএনএফ সদস্য গ্রেফতার
২৩ এপ্রিল ২০২৪ ১৬:৫১ | আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ১৮:০৫
বান্দরবান: বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে রুমা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সভাপতিসহ (কেএনএফ) সাতজনকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
বান্দরবানের রুমায় ব্যাংক ডাকাতি, অস্ত্র লুট ও অপহরণের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সোমবার (২২ এপ্রিল) রাতে রুমার মুনলাই পাড়া থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। পরে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে তাদের বান্দরবান চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়।
গ্রেফতার সাতজন হলেন— রুমা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ভান নুন নোয়াম বম, লাল নুন নোয়াম, লাল দাভিদ বম, চমলিয়ান বম, লাল পেক লিয়ান, লাল মিন বম ও ভান বিয়াক লিয়ান বম। তারা সবাই রুমার মুনলাই পাড়ার বাসিন্দা।
আরও পড়ুন- রুমা উপজেলার ছাত্রলীগ সভাপতি বহিষ্কার
এই সাতজনকে ব্যাংক ডাকাতি, অস্ত্র লুট ও অপহরণের ঘটনায় দারা করা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে হাজির করা হয়। সেখানে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এ এস এম এমরান তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ নিয়ে রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতির মামলায় এখন পর্যন্ত ৭৮ জনকে গ্রেফতার করল যৌথবাহিনী।
এদিকে গ্রেফতারের আগে কেএনএফের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা থাকার অভিযোগে রুমা উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ভান মুন নোয়াম বমকে বহিষ্কার করে ছাত্রলীগ। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি অং ছাইং উ পুলু ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন মানিকের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে তাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কারের তথ্য জানানো হয়।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বান্দরবান পার্বত্য জেলা শাখার জরুরি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংগঠনের গঠনতন্ত্রবিরোধী, শৃঙ্খলা পরিপন্থি, অপরাধমূলক ও সংগঠনের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করার মতো কার্যকলাপে লিপ্ত থাকার অভিযোগ থাকায় রুমা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ভান মুন নোয়াম বমকে বহিষ্কার করা হলো।
জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি অং ছাইং উ পুলু মারমা বলেন, কেএনএফের সঙ্গে জড়িত থাকার তথ্য পাওয়ায় তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এর আগে গত ২ এপ্রিল বান্দরবানের রুমা উপজেলায় সোনালী ব্যাংকে হামলা চালায় কেএনএফ। সেখানে পাহারারত পুলিশ ও আনসার সদস্যদের ১৪টি অস্ত্র তারা লুট করে নিয়ে যায়। ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে টাকা লুট করতে চাইলেও তারা পারেনি। তবে ব্যাংকের ব্যবস্থাপক নেজাম উদ্দিনকে তারা অপহরণ করে।
দুদিন পর রুমার একটা পাহাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে নেজাম উদ্দিনকে উদ্ধার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে এর মধ্যেই ৩ এপ্রিল থানচি উপজেলার সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকে দিন-দুপুরে হামলা চালিয়ে টাকা লুট করে কেএনএফ।
এসব ঘটনার পর রুমা ও থানচি এলাকায় অভিযান চালাচ্ছে যৌথ বাহিনী। এরই মধ্যে সেনাবাহিনীর সমন্বয়ে বিজিবি, র্যাব ও পুলিশের যৌথ বাহিনীর এই অভিযানে ২১ নারীসহ ৭৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সারাবাংলা/টিআর