আসামি ধরা পড়ার পর জানা যায় চালকের লাইসেন্স ও গাড়ির নিবন্ধন নেই
২০ এপ্রিল ২০২৪ ২০:২৭ | আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০২৪ ২০:৩৭
ঢাকা: রাজধানীতে বাস-ট্রাকের যে কটি বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে, তার প্রত্যেকটির ক্ষেত্রে আসামি ধরার পর দেখা যায়, হয় চালকের লাইসেন্স নেই অথবা গাড়ির নিবন্ধন নেই। আবার কোনো ক্ষেত্রে দুটোই নেই।
গত শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে থার্ড টার্মিনালের দেয়াল ভেদ করে রাইদা পরিবহনের বাস ঢুকে পড়ে। এ সময় সাইকেল আরোহী সিভিল অ্যাভিয়েশনের অ্যাসিস্টেন্ট ইঞ্জিনিয়ার নিহত হন। এ ঘটনায় গাড়ির ঘাতক চালককে র্যাব-১ ও র্যাব-৮ অভিযান চালিয়ে বরিশালের হিজলা উপজেলার হরিনাথপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। ওই চালকের নাম হাসান মাহমুদ হিমেল (২৫)।
গ্রেফতারের পর শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে র্যাব-১ উত্তরা কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১ এর উপ-অধিনায়ক মেজর মো. মাসুদ হায়দার বলেন, ‘গ্রেফতার বাসের চালক হাসান মাহমুদ হিমেল স্বীকার করেছেন যে, ওই বাসের নিবন্ধন ও ফিটনেস সংক্রান্ত কোনো কাগজপত্র ছিল না। এমনকি তার ড্রাইভিং লাইসেন্সও নেই।’
তিনি বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হিমেল জানিয়েছে, বাস দুর্ঘটনার পর হিমেল ঢাকা থেকে বাসে করে বরিশালে পালিয়ে যান। আগে সে হেলপার হিসেবে কাজ করত। তার লাইসেন্স নেই। লাইসেন্স ছাড়াই গাড়ির মালিক তাকে বাস হাতে তুলে দিয়েছেন। কীভাবে এটি হয়েছে, তা তদন্তে উঠে আসবে।’
গ্রেফতার আসামির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
দুর্ঘটনার পর সাধারণ মানুষ প্রশ্ন তুলছে, দুর্ঘটনার আগে বাসটি প্রতিনিয়ত সড়কে চলাচল করেছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বিশেষ করে ট্রাফিক বিভাগ বাসের ফিটনেস সংক্রান্ত কাগজপত্র ও চালকের লাইসেন্স ছিল না সেটি কেন দেখেন না? জানতে চাইলে র্যাব জানিয়েছে, এ বিষয়টি র্যাব তদন্ত করেনি কখনো। যে থানায় মামলা হয় সেই থানায় কেবলমাত্র র্যাব কর্তৃক গ্রেফতার আসামিদের হস্তান্তর করা হয়। পরবর্তী সময়ে তদন্ত কর্মকর্তা কি করেন তা দেখভাল করে না র্যাব।
প্রসঙ্গত, রাইদা পরিবহনের বাসগুলো উত্তরা দিয়াবাড়ি থেকে যাত্রাবাড়ী পোস্তগোলা ব্রিজ পর্যন্ত চলাচল করে।
সারাবাংলা/ইউজে/একে