হাওরে ধান কাটতে নামলেন মন্ত্রী, দাম নিয়ে শঙ্কায় কৃষকরা
১৯ এপ্রিল ২০২৪ ১৯:০৩ | আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ২১:৪২
সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জের দেখার হাওরে কৃষকদের সঙ্গে নিয়ে ধান কাটলেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদ।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ১২টায় গামছা পড়ে ও কৃষকদের প্রচলিত তালপাতার গোল ছাতা মাথায় দিয়ে কাস্তে হাতে ধান কাটেন তিনি। পরে কম্বাইন্ড হারভেস্টারে চড়ে কৃষিমন্ত্রী ধান কাটার কলাকৌশল দেখেন। ধান কাটা শেষে পাকা ধানের হাতে নিয়ে ছবি তোলেন মন্ত্রী।
সরেজমিনে দেখা যায়, দিগন্ত বিস্তৃত মাঠজুড়ে বোরো ধানের ফসল সবুজ থেকে সোনালী বর্ণ ধারণ করেছে। কৃষকরাও ফসল ঘরে তুলতে দিন-রাত এক করে কর্মযজ্ঞ চালাচ্ছেন। কেউ ধান কাটছেন, কেউ আঁটি বাঁধছেন। কেউ কেউ সেই ধান মাথায় নিয়ে খেত থেকে বাড়ি যাচ্ছেন। আবার কেউ করছেন মাড়াইয়ের কাজ। সকাল থেকে দিনভর এভাবেই ব্যস্ত সময় পার করছেন সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চলের কৃষক-কৃষাণীরা।
তবে সোনালী ধান ঘরে তোলার পরও কৃষকের মুখটা যেন মলিন। কারণ ধানের ফলন ভালো হলেও সার, কীটনাশক, ধান কাটা শ্রমিকসহ অন্যান্য খাতে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় হয়েছে। খরচের তুলনায় ধানের দাম কম। ফলে ধানের দাম না বাড়লে লাভ তো দূরে থাক এই দামে উৎপাদন খরচ উঠবে কি না তা নিয়ে এখন শঙ্কায় কৃষক।
হাওর পাড়ের কৃষকরা জানান, সবকিছুর যে দাম তাতে ধানের দাম ১৫০০ টাকার নিচে হলে কৃষকের লস। যেভাবে খরচ হয়, তাতে কৃষকের বেঁচে থাকা সম্ভব না।
তবে কৃষি মন্ত্রী জানান, খাদ্য মন্ত্রীর নেতৃত্বে ধানের দাম নির্ধারণের জন্য আগামী রোববার সভা হবে। কৃষক যাতে ন্যায্যমূল্য পায় সে দিকে লক্ষ্য রাখবও আমরা। আমরা চাই কৃষকরা যাতে ধান চাষে উৎসাহিত হয়, সে ভাবেই ধানের দাম নির্ধারণ করা হবে।
চলতি মৌসুমে সুনামগঞ্জে ২ লাখ ২৩ হাজার ২৪৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করেছেন কৃষকরা। যেখান থেকে ১৩ লাখ ৭০ হাজার ২০২ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সারাবাংলা/এমও