‘এক বন্ধুরাষ্ট্রকে খুশি করতে গিয়ে অন্যের বিরাগভাজন হতে পারি না’
১৮ এপ্রিল ২০২৪ ২০:৪৪ | আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ০০:১৭
ঢাকা: এক বন্ধুরাষ্ট্রকে খুশি করতে গিয়ে অন্য রাষ্ট্রের বিরাগভাজন হতে পারি না বলে মন্তব্য করেছেন সেনাপ্রধান এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে ইস্কাটনে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিস) আয়োজিত প্রতিরক্ষা কূটনীতিবিষয়ক সেমিনারে সেনাপ্রধান এ কথা বলেন।
সেনাপ্রধান বলেন, ‘মিয়ানমারের নেতৃত্বের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ আছে। কিন্তু আপনারা জানেন, মিয়ানমারের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখাটা নিজেদের ঝুঁকিতে ফেলে দেওয়ার মতো। কারণ, সব দেশই আমাদের বন্ধু। কাজেই একটি বন্ধুরাষ্ট্রকে খুশি করতে গিয়ে অন্য রাষ্ট্রের বিরাগভাজন হতে পারি না। এই বাস্তবতা আমাদের বিবেচনায় রাখতে হয়।’
সেনাপ্রধান বলেন, ‘যে কোনো দেশের জাতীয় নীতিই নির্ধারণ করে, কেমন হবে প্রতিরক্ষা কূটনীতি। এটি অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। তবে একা একা সফলতা অর্জন করা অসম্ভব। কীভাবে সবার সঙ্গে সহযোগিতা করা যায়, সেটি হচ্ছে বড় চ্যালেঞ্জ।’
নিজস্ব সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর জোর দিয়ে সেনাবাহিনী প্রধান বলেন, “অভিপ্রায় হঠাৎ করে বদলে যেতে পারে। কিন্তু সক্ষমতা হঠাৎ করে বদলায় না। আজ একজন বন্ধু আছে কিন্তু কাল সে বন্ধু না–ও থাকতে পারে। জাতীয় স্বার্থ ও মাতৃভূমি সুরক্ষার জন্য আমাদের তৈরি থাকতে হবে। পররাষ্ট্রনীতির মূলমন্ত্র ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’ এবং সামরিক বাহিনী পররাষ্ট্র নীতির উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য সবকিছু করছে।”
তিনি আরও বলেন, ‘সামরিক বাহিনীর মূল কাজ হচ্ছে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা এবং আমরা এটি কখনো ভুলি না। আমরা সবসময় এর জন্য তৈরি।’
চিফ অব জেনারেল স্টাফ (সিজিএস) লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার উজ্জামান অনুষ্ঠানে বলেন, ‘মাঠপর্যায়ে পদক্ষেপসহ প্রতিরক্ষা কূটনীতি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ভালো করছে তবে এখনো অনেকে বিষয়ে উন্নতির সুযোগ আছে।’
এদিনের আলোচনায় জাতিসংঘের শান্তি মিশনে বাংলাদেশের অর্জনকে মাথায় রেখেই, কেনো আগামী দিনে বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা কূটনীতিতে মনোযোগ ও বিনিয়োগের প্রয়োজন, বক্তারা তা তুলে ধরেন একে একে। দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা কূটনীতি নির্ধারনে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, চীন, ভারত ও মিয়ানমারসহ বাকিদের সঙ্গে কেমন ধরনের পদক্ষেপ নিতে পারে বাংলাদেশ, তা প্রাধান্য পায় আলোচনায়।
সারাবাংলা/ইউজে/একে