হাসপাতালে শঙ্খিনী, আতঙ্কে কর্মচারীদের ছুটোছুটি
১৩ এপ্রিল ২০২৪ ১৩:৪৪ | আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০২৪ ১৩:৪৬
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় বেসরকারি হলি হেলথ ক্লিনিক থেকে একটি বিষধর শঙ্খিনী সাপ উদ্ধার হয়েছে।
শুক্রবার (১২ এপ্রিল) রাতে উপজেলার কালাবিবির দীঘির মোড়ে ওই হাসপাতালের নিচতলার একটি কক্ষ থেকে সাপটি উদ্ধার করা হয়।
সাপ উদ্ধারকারী অনলাইনভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘স্নেক রেসকিউ টিম বাংলাদেশের’ সদস্যরা সাপটি উদ্ধার করেন। পরে উদ্ধারকারী দলটির ফেসবুক পেইজে বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে।
জানা গেছে, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে হাসপাতালের নিচতলায় এক্স-রে কক্ষে সাপটি দেখা যায়। এক্স-রে কক্ষের সহকারি হিসেবে কর্মরত নান্টু দেব প্রথম সাপটি দেখেন। এসময় হাসপাতালের কর্মী ও রোগি এবং তাদের স্বজনদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
নান্টু দেব সারাবাংলাকে বলেন, ‘ইমার্জেন্সিতে রোগির ভিড় থাকলেও এক্স-রে কক্ষে কেউ ছিল না। দরোজা বন্ধ ছিল। এক্স-রে করার জন্য শুধুমাত্র একজন নারী রোগী ওয়েটিং রুমে বসা ছিলেন। ওয়েটিং রুমের চেয়ার থেকে এক্স-রে কক্ষের দরোজার দূরত্ব ২-৩ হাতের মতো। আমি ইমার্জেন্সি থেকে এসে দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে সাপটি দেখতে পাই। সেটি একেবারে দরজার সঙ্গে লেপ্টে ছিল। দরোজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে সেটি এক্স-রে কক্ষের কোণায় চলে যায়। সেখানে কাগজের কার্টনের আড়ালে কুণ্ডলী পাকিয়ে রয়ে যায়।’
‘আমি সাপ দেখে দরোজা ছেড়ে পিছিয়ে আসি। ওই রোগি ঢুকতে চাইলে উনাকে বাধা দেই। ভেতরে সাপ আছে জানতে পেরে উনি আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। ঘটনা জানার পর অনেকে এক্স-রে কক্ষের সামনে আসেন। কেউ কেউ মারতে চাইলেও আমরা কয়েকজন তাদের বাধা দিই। পরে স্নেক রেসকিউ টিমকে খবর দেয়া হয়। সাপটি কিভাবে এক্স-রে রুমে এল, বুঝতে পারছি না।’
হাসপাতালে যাওয়া এক রোগির স্বজন আবদুল্লাহ আল হারুন বলেন, ‘সাপ আছে শুনে আতঙ্কিত কর্মচারী ও রোগীদের স্বজনরা ছোটাছুটি শুরু করেন। আমি সাপটি মারতে দেইনি। স্নেক রেসকিউ টিম বাংলাদেশকে খবর দেই। তারা এসে সাপটি উদ্ধার করে।’
স্নেক রেসকিউ টিম বাংলাদেশের ফেসবুক পেইজে জানানো হয়েছে, খবর পেয়ে সংগঠনটির সদস্য রাকিব হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে রাত সাড়ে ৯টার দিকে সাপটিকে সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করেন। সাপটি প্রায় ৪ ফুট লম্বা। পরে সাপটি আবার প্রকৃতিতে মুক্ত করে দেয়া হয়েছে।
কেউটে সাপের মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘ ও বিষধর শঙ্খিনী সাপ বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামে সচরাচর দেখা যায়। তবে খুবই শান্ত ও লাজুক স্বভাবের। এ সাপের মানুষকে আক্রমণ করার ঘটনা বিরল। বরং অন্য বিষধর সাপ খেয়ে থাকে।
সারাবাংলা/আরডি/এনইউ