ইসরাইলে হামলা শুরু করেছে হিজবুল্লাহ
১৩ এপ্রিল ২০২৪ ১৩:০৯ | আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০২৪ ১৫:০২
ইসরাইলের কামান লক্ষ্য করে প্রায় অর্ধশত রকেট হামলা চালানোর কথা জানিয়েছেন লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহ। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) রাতে ‘কাতিউশা রকেট’ দিয়ে এই হামলা করা হয়। দেশটির দক্ষিণে ইসরাইলি হামলার জবাবে এই বোমা হামলা করা হয়েছে বলে সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। খবর আলজাজিরা।
গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর এই প্রথম একসঙ্গে রকেট ও ড্রোন দিয়ে ইসরাইলে এতো বড় হামলা চালালো হিজবুল্লাহ। এর বেশিরভাগই আটকানো হয়, তবে কিছু খোলা জায়গায় পড়ে। হিজবুল্লাহ সীমান্ত পেরিয়ে কয়েকটি সশস্ত্র ড্রোনও পাঠিয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরাইল।
এক বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ জানায়, ‘শত্রুর আর্টিলারি অবস্থানগুলোকে লক্ষ্য করে প্রায় ৪০টি কাতিউশা রকেট দিয়ে’ হামলা চালিয়েছে যোদ্ধারা। লেবাননের ‘দক্ষিণাঞ্চলের গ্রামগুলো ও বেসামরিক বাড়িতে শত্রুদের আক্রমণের জবাবে’ এই হামলা করা হয়েছে।
এদিকে হিজবুল্লাহর রকেট হামলার তথ্য স্বীকার করেছে ইসরাইল। দেশের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, ‘লেবানন থেকে নিক্ষেপ করা প্রায় ৪০টি রকেট শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি আটক করা হয়েছে।’
এ হামলার এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। এর আগে লেবানন থেকে হিজবুল্লাহর দু’টি অ্যাটাক ড্রোনকে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরাইলের সেনাবাহিনী।
এর আগে, গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেট ভবনে হামলায় দেশটির সিনিয়র সামরিক কর্মকর্তাসহ ১৩ জন নিহত হন। এর মধ্যে সিরিয়া ও লেবাননে ইরানের এলিট কুদস ফোর্সের সিনিয়র কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ রেজা জাহেদি ছিলেন। এ ঘটনায় প্রতিশোধ নেওয়ার অঙ্গীকার করেছে ইরান। এ পরিস্থিতি একসঙ্গে এতো রকেট হামলা চালালো হিজবুল্লাহ।
এদিকে গাজায় ইসরাইলের হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৩ হাজার ৬৩৪ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে নারী ও শিশুদের সংখ্যাই বেশি। এছাড়া আহত হয়েছেন অন্তত ৭৬ হাজার ২১৪ জন।
প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর হামাসের যোদ্ধারা আশ্চর্যজনকভাবে ইসরাইলে হামলা চালায়। এতে করে অন্তত ১ হাজার ২০০ ইসরাইলি নিহত হয়। এছাড়া ২৫৩ জনকে জিম্মি করে। এরপরই হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে গাজায় হামলা শুরু করে ইসরাইল। তবে এই হামলায় নিরীহ ফিলিস্তিনিরাই নিহত হচ্ছেন।
সারাবাংলা/এনএস