বান্দরবানের ৩ উপজেলায় পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা
১২ এপ্রিল ২০২৪ ২০:১২ | আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০২৪ ২২:৩৯
বান্দরবান: রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলায় পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। কারণ, এসব এলাকায় কেএনএফের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের বিরুদ্ধে যৌথ বাহিনীর অভিযান চলছে।
শুক্রবার (১২ এপ্রিল) বিকেলে রুমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ দিদারুল আলমের সই করা এক পরিপত্রে এই নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি জানানো হয়।
পরিপত্রে জানানো হয়, রুমা-রোয়াংছড়ি ও থানচি এলাকার সব হোটেল মালিক, নৌ-মালিক, গাড়ির মালিক ও ট্যুরিস্ট গাইডদের পর্যটক বা ভ্রমণকারীদের হোটেল রুম ভাড়া না দেওয়ার পাশাপাশি যৌথ অভিযান পরিচালিত এলাকার কাছাকাছি পর্যটন স্পটে তাদের না নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পরিপত্রে বলা হয়, যেসব এলাকায় যৌথবাহিনীর সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান চলমান রয়েছে, সেসব এলাকার পর্যটন স্পটগুলোতে পর্যটকদের ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, ‘বান্দরবানে অসংখ্য পর্যটনকেন্দ্র রয়েছে। রুমা, থানচি আর রোয়াংছড়ি ছাড়া বান্দরবানের অন্যান্য চারটি উপজেলায় অসংখ্য পর্যটনকেন্দ্র রয়েছে। সেগুলোতে কোনো সমস্যা নেই। আমরা পর্যটকদের বান্দরবান ভ্রমণে কোনো নিষেধাজ্ঞা দিইনি। শুধুমাত্র বান্দরবানের তিন উপজেলায় (রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়ি) যৌথবাহিনীর সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান পরিচালনার জন্য ওইসব এলাকার পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে পর্যটকদের নিরাপত্তার কারণে ভ্রমণে সাময়িকভাবে নিরুৎসাহিত করছি।’
উল্লেখ্য, গত ২ এপ্রিল পাহাড়ের সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপ কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) শতাধিক অস্ত্রধারী রাত সাড়ে ৯টার দিকে এসে রুমা উপজেলার ইউএনও অফিসসংলগ্ন মসজিদ ও ব্যাংক ঘেরাও করে। তারা সোনালী ব্যাংকের টাকাসহ ডিউটিরত পুলিশ ও আনসার সদস্যদের ১৪টি অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এমনকি যাওয়ার সময় রুমা সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকেও অপহরণ করে তারা।
সারাবাংলা/পিটিএম