Tuesday 07 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

লঞ্চঘাটে মা-বাবার সঙ্গে প্রাণ গেল ৩ বছরের শিশুর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১১ এপ্রিল ২০২৪ ১৭:৩৫ | আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০২৪ ২৩:৩৫

বেল্লাল, মুক্তা ও মাইশা। মুক্তার ভাইয়ের মোবাইল থেকে সংগ্রহ করা ছবি

ঢাকা: রাজধানীর সদরঘাটে একটি লঞ্চের দড়ি ছিঁড়ে গেলে ওই দড়ির আঘাতে পাঁচজন প্রাণ হারিয়েছেন। পুলিশ ও হাসপাতালের তথ্য বলছে, এই পাঁচজনের মধ্যে রয়েছে এক দম্পতি ও তাদের তিন বছর বয়সী সন্তান।

বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) বিকেল ৩টার দিকে সদরঘাটে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঢাকা-চরফ্যাশন-বতুয়া রুটে চলাচলকারী তাসরিফ-৪ লঞ্চের দড়ি ছিঁড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতাল এবং পুলিশ সূত্রে দুর্ঘটনায় নিহত পাঁচজনের নাম-পরিচয়ই জানা গেছে। তারা হলেন— মো. বেল্লাল (২৫), মুক্তা (২৫), মাইশা (৩), মো. রিপন হাওলাদার (৩৮) ও মো. রবিউল (১৯)।

আরও পড়ুন- লঞ্চের দড়ির আঘাতে প্রাণ গেল ৫ জনের

নিহতদের মধ্যে মো. বেল্লাল ও মুক্তা স্বামী-স্ত্রী। মাইশা তাদের সন্তান। বেল্লালের বাড়ি পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার ঘাটিচরা গ্রামে। তার বাবা মৃত আব্দুল খালেক। পরিবারটি ঢাকায় কোথাও থাকত কি না কিংবা কেন সদরঘাটে অবস্থান করছিল, সে বিষয়ে এখনো কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

নিহত বাকি দুজনের মধ্যে রিপন হাওলাদারের গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালী সদরে। বাবা জয়নাল আবেদিন। ঢাকায় ভাটারা থানায় ১০০ ফুট সড়কে কালাম খন্দকারের বাড়িতে থাকতেন তিনি।  রিপন হাওলাদার পেশায় পাঠাও চালক ছিলেন।

নিহত আরেকজন রবিউলের (১৯) গ্রামের বাড়ি ঠাকুরগাঁও সদরের নিশ্চিন্তপুরে। তিন ভাইয়ের সঙ্গে থাকতেন পুরান ঢাকায়। বাবার নাম আব্দুল্লাহ কাফী।  নিহত মো. রবিউল পেশায় হকার। তিনি ফেরি করে রুটি বিক্রি করতেন।

মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে নিহতদের মরদেহ। সেখানে কর্মরত ডোম মোহাম্মদ মিলন শেখ জানান, পাঁচজনেরই মৃত্যু হয়েছে মাথায় আঘাত লেগে।

বিজ্ঞাপন

কোতোয়ালি থানা পুলিশ, নৌ পুলিশ ঢাকা জেলা ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) সূত্রে জানা যাচ্ছে, সদরঘাট লঞ্চঘাটের ১১ নম্বর পন্টুনের সামনে এমভি তাসরিফ-৪ লঞ্চটি ঘাটে নোঙর করা ছিল। পাশে ছিল এমভি পূবালী-১। লঞ্চ দুটির মাঝখানের জায়গায় ঢোকার চেষ্টা করে আরেক লঞ্চ এমভি ফারহান-৬।

সূত্রগুলো বলছে, এ সময় পন্টুনের সঙ্গে বেঁধে রাখা তাসরিফ-৪ লঞ্চের দড়িটি ছিঁড়ে যায়। তীব্র গতিতে সেই দড়ি আঘাত করে পন্টুনে দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকজনকে। এর মধ্যে দুর্ঘটনাস্থলেই তিনজনের মৃত্যু হয়। আহতদের হাসপাতালে নিলে সেখানে আরও দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।

বিআইডব্লিউটিএর পরিচালক (বন্দর) আরিফ হাসনাত সারাবাংলাকে বলেন, দুর্ঘটনা ও হতাহতের খবর আমরা পেয়েছি। আমরা স্পটে যাচ্ছি।

সারাবাংলা/টিআর

এমভি তাসরিফ-৪ টপ নিউজ নৌ দুর্ঘটনা সদরঘাট

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর