সামিয়া কেন একা হোটেলে উঠেছিলেন— উত্তর খুঁজছে পুলিশ
৮ এপ্রিল ২০২৪ ১৮:০৬ | আপডেট: ৮ এপ্রিল ২০২৪ ২২:৫১
ঢাকা: রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকার একটি আবাসিক হোটেল থেকে জনপ্রিয় চলচ্চিত্র পরিচালক সোহানুর রহমান সোহানের মেয়ে সামিয়া রহমান সৃষ্টির (৩৪) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রোববার (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে দক্ষিণ যাত্রাবাড়ীর ক্যামব্রিয়ান স্কুলসংলগ্ন রংধনু আবাসিক হোটেলের ২১০ নম্বর কক্ষ থেকে তার মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশের ধারণা, সামিয়া গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। এ বিষয়ে ডিএমপির যাত্রাবাড়ী থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, প্রয়াত জনপ্রিয় চলচ্চিত্র পরিচালক সোহানুর রহমান সোহানের মেয়ে সামিয়া রহমান উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের ২ নম্বর রোডে স্বামী তানিমের সঙ্গে থাকতেন। পারিবারিক কলহের কারণে তিনি রোববার (৭ এপ্রিল) যাত্রাবাড়ী ক্যামব্রিয়ান স্কুলসংলগ্ন ‘রংধনু’ আবাসিক হোটেলের ২১০ নম্বর কক্ষ ওঠেন। পরে তিনি হোটেল কক্ষে নিজের ওড়না গলায় পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন।
এ বিষয়ে সোমবার (৮ এপ্রিল) যাত্রাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাব্বির হোসেন বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে, সামিয়া রহমান আত্মহত্যা করেছেন। তিনি গতকাল পারিবারিক কলহের জের ধরে ওই আবাসিক হোটেলে ওঠেন। পরে তিনি গলায় নিজের ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। নিহতের মরদেহ এখনও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) মর্গে রয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’
এসআই সাব্বির বলেন, ‘সামিরা একা কেন একটি আবাসিক হোটেলে উঠলেন? উত্তরায় থাকতেন তিনি, কেনইবা এত দূরে এসে হোটেলে উঠলেন? স্বামীর পরিবারই বা কী জানে? সবকিছু সামনে রেখে তদন্ত চলছে। নিশ্চয়ই কিছু বের হবে? আসলেই কী ঘটেছে তা বের হবে।’
এদিকে, সামিয়া রহমানের সুরতহাল প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, তার মাথা ও কপাল স্বাভাবিক অবস্থায় ছিল। কপালে পুরোনো কাটা দাগ রয়েছে। মুখমণ্ডল স্বাভাবিক থাকলেও চোখ অর্ধখোলা। দুই ঠোঁটের মাঝখানে জিব অর্ধকামড় অবস্থা দেখা গেছে। গলায় অর্ধচন্দ্রাকার কালো দাগ দেখা যায়। ওড়না দিয়ে ফাঁস নেওয়ায় এই কালো দাগ হয়েছে। এছাড়া কাঁধ স্বাভাবিক অবস্থায় ছিল। দুই হাত ছিল লম্বালম্বি অবস্থায় আর হাতের আঙ্গু অর্ধমুষ্ঠি অবস্থায়।
সারাবাংলা/ইউজে/পিটিএম