শাজাহানপুর থানায় নূরু বাহিনীর হামলা, এসআইসহ ৬ পুলিশ আহত
৭ এপ্রিল ২০২৪ ১৪:০০ | আপডেট: ৭ এপ্রিল ২০২৪ ১৪:০৪
বগুড়া: জেলার শাজাহানপুর উপজেলায় এক স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকে আটকের ঘটনায় থানায় ঢুকে বাহিনী নিয়ে পুলিশের ওপরে হামলা চালিয়েছেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মাঝিড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নুরুজ্জামান। তিনি নুরু বাহিনীর প্রধান। এ হামলায় একজন এসআইসহ ছয় পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ইতোমধ্যে আটজনকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় ২টি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করা হয়।
শনিবার (৬ এপ্রিল) দিবাগত রাতে উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মিঠুন খানকে (৩২) আটক করায় থানায় এই হামলা চালায় নুরু বাহিনী। এ ঘটনায় আহত পুলিশের মধ্যে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আনিছুর রহমান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ঘটনা পর মিঠুন খানসহ আটজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বাকি গ্রেফতাররা হলেন— উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মাঝিড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নুরুজ্জামান (৩৮), উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান নাজমুল (৩০), উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি সাইদুজ্জামান খোকন (৩২), স্বেচ্ছাসেবক লীগ কর্মী রবিন (২৫) ও বোরহান উদ্দিন (৩৫)। গ্রেফতার হওয়া আরও দুই সন্ত্রাসীর পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল শনিবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়নের আড়িয়াবাজার বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মিঠুন খানের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় ২টি বিদেশি চাকুসহ তাকে আটকের সময় অভিযানে অংশ নেওয়া পুলিশের ওপরে হামলা করে মিঠুন। এতে এসআই আনিছুর রহমান আহত হন। গ্রেফতার করে মিঠুনকে শাজাহানপুর থানায় নিয়ে আসার পর রাত ১০টার দিকে প্রায় ৫০ জন সহযোগী নিয়ে থানায় আসেন নুরুজ্জামান। এ সময় পুলিশের ওপরে সরাসরি হামলা করেন সঙ্গে থাকা সহযোগীরা। এতে বেশ কয়েকজন পুলিশ আহত হন। পরে পুলিশ প্রতিরোধ করলে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা।
থানা থেকে পালিয়ে এসে নুরুজ্জামানের নেতৃত্বে মাঝিড়া ইউনিয়নের মাঝিড়াপাড়া এলাকায় আবারও অবস্থান নেয় তারা। এ সময় পুলিশের পাশাপাশি অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এসে সেখান থেকে নুরুজ্জামান, নাইম, খোকন, নাজমুল, বোরহানসহ অন্যদের আটক করেন। আটকের পর ওই রাতেই জিজ্ঞাসাবাদে নুরুজ্জামান এবং নাজমুলের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী তাদের বাড়ি থেকে ২টি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এসআই আনিছুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘মিঠুনের কাছে ২টি বিদেশি চাকু পেয়েছিলাম। তাকে আটক করার সময় তিনি আমাদের ওপরে হামলা চালায়। এতে আমিসহ কয়েকজন আহত হই।’
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত পুলিশের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয় নাই।
সারাবাংলা/এনএস