‘অনিবার্য’ ইরানি হামলা মোকাবিলার প্রস্তুতি নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
৬ এপ্রিল ২০২৪ ১৫:২৫ | আপডেট: ৬ এপ্রিল ২০২৪ ২৩:০৬
গত সোমবার দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটে বোমা হামলায় নিহত হওয়া ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের দুই শীর্ষ কমান্ডারসহ সাত কর্মকর্তার প্রতিশোধ নেওয়ার অঙ্গীকার করেছে ইরান। মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে শুক্র ও শনিবার কয়েকটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সিরিয়ায় ইসরাইলি বিমান হামলার প্রতিশোধ হিসেবে ইরান মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকান বা ইসরাইলি কর্মীদের ওপর হামলা চালাবে বলে বিশ্বাস করে যুক্তরাষ্ট্র।
একজন সিনিয়র কর্মকর্তা সিএনএনকে বলেছেন, মার্কিন সরকার বিশ্বাস করে, ইরানের প্রতিশোধ নেওয়া অনিবার্য। ইসরাইলিরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এই বিষয়ে একমত। কর্মকর্তারা সতর্ক করেছেন, চলতি সপ্তাহের মধ্যেই আক্রমণ চালাতে পারে ইরান।
এনবিসি নিউজ এবং সিবিএস নিউজের সঙ্গে কথা বলা কর্মকর্তাদের মতে, মার্কিন গোয়েন্দাদের পরামর্শ হলো, ইরান শাহেদ কামিকাজে ড্রোন এবং ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের একটি ঝাঁক ব্যবহার করতে পারে। তেহরান মধ্যপ্রাচ্যে কোনো ইসরাইলি কূটনৈতিক বা কনস্যুলার স্থাপনা লক্ষ্য করে এই হামলা চালাতে পারে।
বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর মধ্যে ফোনালাপের সময়ও সম্ভাব্য হামলা নিয়ে আলোচনা হয়।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আলি খামেনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, ইসরাইলের মুখে একটি চপেটাঘাত করবে তার দেশ। তেহরানের কর্মকর্তারাও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে হুমকি দিয়েছেন। যদিও ওয়াশিংটন দাবি করেছে, দামেস্কে ইরানের মিশনে হামলার বিষয়ে কোনো তথ্য তাদের কাছে ছিল না।
জানুয়ারির পর দিকে এই অঞ্চলে মার্কিন কর্মীদের উপর কোনো বড় ধরনের হামলা হয়নি। গত জানুয়ারিতে একটি কামিকাজে ড্রোন জর্ডান-সিরিয়ান সীমান্তের কাছে একটি দূরবর্তী ফাঁড়িতে আক্রমণ চালায়। এতে ওই ফাঁড়িতে অবস্থানরত তিন মার্কিন সৈন্যের নিহত হয়। এর পর ছোটখাটো ড্রোন হামলার প্রচেষ্টা লক্ষ্য করা গেচগে। মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে সিএনএন জানিয়েছে, মার্কিন সেনারা এই সপ্তাহে দক্ষিণ সিরিয়ার আল-তানফ ঘাঁটির কাছে দুটি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করেছে।
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসকে সহায়তার জন্য বরাবরই ইরানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে আসছে ইসরাইল। এছাড়া মধ্যপ্রাচ্যে হিজবুল্লাহ এবং অন্যান্য ফিলিস্তিনপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠীকে সহায়তা করার অভিযোগও তেহরানের বিরুদ্ধে। তাই এই অঞ্চলে ইরানের সামরিক কর্মকর্তাদের লক্ষ্য লক্ষ্য করে হামলা চালিয়ে থাকে ইসরাই। যদিও ইসরাইল সরাসরি ইরানি জেনারেলদের মৃত্যুর দায় স্বীকার করেনি। ইসরাইলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, মধ্যপ্রাচ্যে যারা আমাদের বিরুদ্ধে কাজ করবে তাদের চরা মূল্য দিতে হবে।
সারাবাংলা/আইই