‘পার্শ্ববর্তী দেশের সন্ত্রাসীদের অস্ত্র পাচ্ছে কেএনএফ’
৬ এপ্রিল ২০২৪ ১৫:১৫
চট্টগ্রাম ব্যুরো: পার্শ্ববর্তী দেশের সন্ত্রাসীদের দেয়া অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) পার্বত্য চট্টগ্রামে সশস্ত্র তৎপরতা চালাচ্ছে বলে তথ্য পাবার কথা জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
শনিবার (৬ এপ্রিল) সকালে চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানজি পুকুর পাড়ে নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেছেন মন্ত্রী।
কেএনএফের সশস্ত্র তৎপরতায় বিদেশি সহযোগিতা আছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তাদের সাথে আশেপাশের সন্ত্রাসীদেরও যোগাযোগ আছে। পার্শ্ববর্তী দেশে যারা ইতোমধ্যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছিল, তাদের অস্ত্রশস্ত্র এদের (কেএনএফ) কাছে এসেছে বলে জানা গেছে। তাদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে ব্যাংক ম্যানেজারকে মুক্ত করা হয়েছে। তাদের নির্মূল করতে সরকার বদ্ধপরিকর।’
উল্লেখ্য, পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দরবানের রুমা উপজেলা সদরে গত ২ এপ্রিল রাতে সোনালী ব্যাংকে ডাকাতি ও ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণ এবং পুলিশ ও আনসারের ১৪টি অস্ত্র লুটের ঘটনা ঘটে। পরদিন দুপুরে থানচিতে কৃষি ও সোনালী ব্যাংকে সশস্ত্র হামলার ঘটনা ঘটে। রুমা থেকে অপহৃত সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক নিজাম উদ্দিন প্রায় ৪৮ ঘণ্টা পর ৪ এপ্রিল সন্ধ্যায় ছাড়া পান। এছাড়া ৪ এপ্রিল রাতে আবার দুর্গম পাহাড় থেকে থানচি থানা লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফ এসব ঘটনা ঘটিয়েছে বলে প্রশাসন নিশ্চিত করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপিকে তারেক জিয়ার নেতৃত্ব থেকে বেরিয়ে আসার পরামর্শ দেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘বিএনপিকে ধ্বংস করার জন্য তারেক জিয়াই যথেষ্ঠ, আর কাউকে লাগবে না। যতদিন তারেক জিয়া তাদের নেতা থাকবে, বিএনপির ততদিন কোনো সম্ভাবনা নেই।’
বাজার অস্থিতিশীল করার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বিএনপি ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েছিল মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, ‘তাদের এ ডাকে দেশের কেউ সাড়া দেয়নি, এমনকি বিএনপির নেতাকর্মীরাও সাড়া দেয়নি। বাজার আমরা মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছি। অনেক পণ্যের দামও কমেছে। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এবং মজুদদার চেষ্টা করেছিল বাজার অস্থিতিশীল করার জন্য। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল বিএনপির ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক।’
পণ্যের দাম বাড়লে যেমন প্রচার হয়, কমলেও প্রচারের জন্য গণমাধ্যমকে অনুরোধ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
সারাবাংলা/আরডি/এনইউ