রুশ ঘাঁটিতে ইউক্রেনের ড্রোন হামলা, ৬ যুদ্ধবিমান ধ্বংসের দাবি
৫ এপ্রিল ২০২৪ ১৭:৫৮ | আপডেট: ৬ এপ্রিল ২০২৪ ০০:৪০
রাশিয়ার মোরোজোভস্ক বিমানঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) দিবাগত রাতে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় দেশটির সিকিউরিটি সার্ভিস (এসবিইউ) এই হামলা চালায়। এ ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে কিয়েভ ইন্ডিপেন্ডেন্ট এ খবর প্রকাশ করেছে।
সূত্রটি জানিয়েছে, ওই বিমানঘাঁটিতে এসইউ-৩৪ ফাইটার-বোম্বার এবং এসইউ-২৭ ফাইটার জেট ছিল। সূত্রের মতে, রাশিয়া ইউক্রেনের সামরিক অবস্থান এবং ইউক্রেনীয় ফ্রন্ট-লাইন শহরগুলোতে বোমা ফেলার জন্য এই বিমানগুলো ব্যবহার করে।
এসইউ-৩৪ এবং এসইউ-২৮ উভয় মডেলের যুদ্ধবিমানের প্রতিটির দাম ৩৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি।
সূত্র জানিয়েছে, কমপক্ষে ছয়টি সামরিক বিমান ধ্বংস হয়েছে। আরও আটটি বিমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রায় ২০ রুশ সেনা নিহত বা আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এই বিশেষ অভিযানের কারণে রুশ বাহিনীর যুদ্ধ সক্ষমতা এই মুহূর্তে অনেকটা হ্রাস পাবে।
এদিকে, শুক্রবার সকালে রুশ কর্তৃপক্ষ রুশ ভূখণ্ডে একটি বিশাল ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলার কথা জানিয়েছে। অন্তত ৫৩টি ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি করেছে রুশ কর্তৃপক্ষ।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, ৪৪টি ড্রোন রোস্তভ ওব্লাস্টের আকাশে গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে। উল্লেখ্য যে, সেখানেই মোরোজোভস্ক বিমানঘাঁটি অবস্থিত। এর আগে বিভিন্ন রুশ টেলিগ্রাম চ্যানেলে দাবি করা হয়েছিল, বিমানঘাঁটির কাছে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, আরও ছয়টি ড্রোন ক্রাসনোদর ক্রাইতে এবং একটি করে কুরস্ক, সারাতোভ এবং বেলগোরোড ওব্লাস্টে ভূপাতিত করা হয়েছে।
টেলিগ্রাম চ্যানেলগুলোতে দাবি করা হচ্ছে, এঙ্গেলস এবং ইয়েস্ক বিমানঘাঁটির কাছাকাছিও বিস্ফোরণের শোনা গেছে। এই দুটি বিমানঘাঁটি যথাক্রমে সারাতোভ এবং ক্রাসনোদর অঞ্চলে অবস্থিত। তবে এই তথ্যটি কোনো রুশ কর্মকর্তা বা কিয়েভ ইন্ডিপেন্ডেন্টের সূত্র দ্বারা নিশ্চিত করা যায়নি।
গত মার্চে ইউক্রেনীয় সংবাদমাধ্যম দাবি করেছিল, এঙ্গেলস বিমানঘাঁটিতে ড্রোন দিয়ে আক্রমণ করা হয়েছে। তখন কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য না দিয়ে বলা হয়েছিল, ড্রোনগুলো লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। পরে স্যাটেলাইট ইমেজ বিশ্লেষণ করে রেডিও ফ্রি ইউরোপ/রেডিও লিবার্টিস স্কিম প্রকল্প জানায়, আক্রমণের সময় এঙ্গেলস বিমানঘাঁটিতেঁ ১১টি রুশ যুদ্ধবিমান ছিল। যার মধ্যে ছয়টি টিইউ-৯৫ এবং তিনটি টিইউ-১৬০ বোমারু বিমান।
সারাবাংলা/আইই