থানচিতে কেএনএফ’র সঙ্গে যৌথবাহিনীর গোলাগুলি
৪ এপ্রিল ২০২৪ ২২:০৪ | আপডেট: ৪ এপ্রিল ২০২৪ ২২:৪০
বান্দরবান: জেলার থানচিতে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যৌথবাহিনীর কয়েক দফা গোলাগুলি হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টা থেকে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী গোলাগুলি চলে। বর্তমানে সেখানে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
থানচির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মামুন জানান, রাত সাড়ে ৮টা থেকে থানচি বাজার ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকায় কেএনএফ’র সঙ্গে পুলিশ ও বিজিবির তুমুল সংঘর্ষ হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে বান্দরবানের থানচি থানাসংলগ্ন এলাকায় আক্রমণ করে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সন্ত্রাসীরা। তারা থানার দিকে মুহুর্মুহু গুলি ছোড়ে। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও পাল্টা গুলি চালায়। সন্ত্রাসীদের সঙ্গে চলা সংঘর্ষে যোগ দেয় বিজিবি সদস্যরাও। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। এলাকার জনসাধারণ চরম আতঙ্কে অনেকটাই গৃহবন্দীর মতো রয়েছে।
থানচির ১ নম্বর রেমাক্রি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুইশৈথুই মার্মা রাত ১০ টায় বলেন, ‘আজ রাত ৮টা থেকে দু’পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি চলছে। আমরা বাড়ির দরজা বন্ধ করে বসে আছি।’
বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রায়হান কাজেমী বলেন, ‘কুকিচিন দ্বিতীয় দফায় সোনালী ব্যাংকে হানা দিতে চাইলে পুলিশ প্রতিহত করে। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ফের যেকোনো সময় গোলাগুলির ঘটনা ঘটতে পরে। বর্তমানে বাজার শূন্য।’
এদিকে, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নুরে আলম মিনা সারাবাংলাকে জানান, রাত সাড়ে ৮টার দিকে থানচি থানার দক্ষিণ-পশ্চিমে একাধিক দুর্গম পাহাড় থেকে থানা লক্ষ্য করে একযোগে গুলিবর্ষণ শুরু হয়। ধারণা করা হচ্ছে, তারা কেএনএফ সদস্য। তাদের মোকাবিলায় পুলিশও থানা থেকে পাল্টা গুলি ছোড়ে। এ ছাড়া, থানচি বাজারের মোতায়েন থাকা পুলিশ সদস্যরাও পাহাড় লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। বর্তমানে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। থানা ঘিরে এবং বাজারে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
সারাবাংলা/এমই/ইউজে/আরডি/পিটিএম