চুয়াডাঙ্গায় স্বামী-স্ত্রীকে হত্যার দায়ে ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
২ এপ্রিল ২০২৪ ১৬:২৭
চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় নজির মিয়া ও তার স্ত্রী ফরিদা খাতুনকে হত্যার ঘটনায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আসামি শাকিল হোসেনকে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দুপুরে আসামিদের উপস্থিতিতে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (২য়) আদালতের বিচারক মাসুদ আলী এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার পর দণ্ডিতদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- আলমডাঙ্গা উপজেলার আসাননগর গ্রামের ক্লাবপাড়ার বজলুর রহমানের ছেলে সাহাবুল হক (২৪), একই গ্রামের শেখপাড়ার পিন্টু রহমানের ছেলে রাজিব হোসেন (২৫) ও মাঝেরপাড়ার মাসুদ আলীর ছেলে বিদ্যুৎ আলী (২৩)। এ ছাড়া দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড আসামি হলেন, আসাননগর গ্রামের স্কুলপাড়ার তাহাজ উদ্দিনের ছেলে শাকিল হোসেন (২৩)।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার পুরাতন বাজারপাড়ায় বৃদ্ধ নজির মিয়া ও তার স্ত্রী ফরিদা খাতুন বসবাস করতেন। ২০২২ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর রাতে যেকোনো সময় অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা চুরির উদ্দেশ্যে বৃদ্ধ দম্পতির বাড়িতে প্রবেশ করেন। প্রথমে বৃদ্ধ নজির মিয়াকে হাত-পা বেঁধে জবাই ও কুপিয়ে হত্যা করেন তারা। পরে তার স্ত্রীকে ঘরের ভেতর জবাই করে হত্যা করে পালিয়ে যায়। এরপর দম্পতির মেয়ে-জামাই অহিদুলসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা তাদের ফোন করে না পেয়ে বাড়িতে এসে তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখতে পান।
পরে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা তালা ভেঙে দুইজনের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেন। ঘটনার দুইদিন পর ২৫ সেপ্টম্বর নিহতের মেয়ে ডালিয়া পারভীন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে আলমডাঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চুয়াডাঙ্গা জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শিহাব উদ্দীন নিহত দম্পতির চুরি হওয়া মোবাইলের সূত্র ধরে আসামি শাকিলকে গ্রেফতার করেন। সেই মোবাইলের কল লিস্ট ধরে হত্যায় সরাসরি জড়িত তিন আসামিদের গ্রেফতার করেন। এরপর ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা। দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালতের বিচারক আজ এই রায় দেন।
সারাবাংলা/ইআ