Saturday 04 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মার্চে সীমান্তে ৫ প্রাণহানি, কারাগারে মৃত্যু ১২ জনের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১ এপ্রিল ২০২৪ ০০:১৩ | আপডেট: ১ এপ্রিল ২০২৪ ০৩:০৯

সীমান্ত এলাকা। প্রতীকী ছবি

ঢাকা: সদ্য শেষ হওয়া মার্চ মাসে দেশের সীমান্ত এলাকায় পাঁচ বাংলাদেশি নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন। এর মধ্যে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে নিহত হয়েছেন চারজন। অন্যদিকে কক্সবাজারের উখিয়া সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকারী সশস্ত্র এক ব্যক্তির গোলায় এক বাংলাদেশি নাগরিক আহত হয়েছিলেন, পরে তার মৃত্যু হয়েছে।

এর বাইরেও বিএসএফের গুলিতে আরও পাঁচ বাংলাদেশি নাগরিক আহত হয়েছেন। অন্যদিকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের শূন্যরেখায় গ্রেনেডে আহত হয়েছেন একজন বাংলাদেশি নাগরিক।

বিজ্ঞাপন

মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের (এমএসএফ) মার্চ মাসের মানবাধিকার পরিস্থিতি মনিটরিং প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, মার্চে কারা হেফাজতে মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। রোববার (৩১ মার্চ) প্রতিবেদনটি গণমাধ্যমে পাঠিয়েছে এমএসএফ।

আরও পড়ুন- মার্চে নির্বাচনি সহিংসতায় ২, রাজনৈতিক সহিংসতায় মৃত্যু একজনের

এমএসএফের প্রতিবেদনে সীমান্তে হত্যার ঘটনাগুলো তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, গত ১৭ মার্চ মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় পৃথিমপাশা ইউনিয়নের শিকড়িয়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত হয় বাংলাদেশি কিশোর সাদ্দাম। ২৬ মার্চ নওগাঁর পোরশা সীমান্তে ভারতের ভেতরে বিএসএফের গুলিতে নিহত হন আল আমিন (৩৮)।

অন্যদিকে ২৯ মার্চ লালমনিরহাটের কালিগঞ্জ উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়নের বুড়িরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত হন মুরলি চন্দ্র (৪৮)। একই ঘটনায় চন্দ্রপুর গ্রামের মিজানুর রহমান (৩১) ও লিটন মিয়া (৩৮) গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। এ ছাড়া মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সংঘাতের সময় কক্সবাজারের উখিয়া সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকারী সশস্ত্র এক ব্যক্তির গোলায় আহত বাংলাদেশি যুবক আনোয়ার সালাম মোবারক (৩২) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

বিজ্ঞাপন

এমএসএফ মনে করে, সরকার সীমান্ত হতাহতের প্রতিবাদ ও প্রতিকারে যে ব্যর্থতা দেখাচ্ছে তা জনমনে ক্রমাগত প্রশ্ন তৈরি করছে। অন্যদিকে মিয়ানমার আন্তর্জাতিক সীমানা আইনের লঙ্ঘন করে যাচ্ছে। সীমান্তে এ ধরনের ঘটনা কখনোই কাম্য হতে পারে না।

এদিকে মার্চে কারা হেফাজতে ছয়জন হাজতি ও ছয়জন কয়েদিসহ ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে মৃত্যু হয়েছে চারজনের, কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে দুজনের। এ ছাড়া চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার এবং বাগেরহাট, শেরপুর, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা ও নওগাঁ জেলা কারাগারে একজন করে বন্দির মৃত্যু হয়েছে।

এমএসএফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এদের মধ্যে একজন কয়েদি আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করা হয়েছে কারা কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে। বাকি কারাবন্দিদের কারাগারের বাইরের হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন অথবা তাদের চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে বলে জানানো হয়।

এমএসএফ মনে করে, কারাগারের ভেতরে চিকিৎসাব্যবস্থার উন্নতির পাশাপাশি হেফাজতে মৃত্যুর কারণ সঠিকভাবে তদন্ত করা গুরুত্বপূর্ণ।

মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, ২০টি জাতীয় দৈনিক ও অনলাইন পোর্টালসহ অন্যান্য গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে সংস্থাটি। ঘটনাগুলো পৃথকভাবে মানবাধিকার কর্মীদের মাধ্যমে যাচাইও করা হয়েছে।

সারাবাংলা/আরএফ/টিআর

এমএসএফ কারা হেফাজতে মৃত্যু গুলিবিদ্ধ টপ নিউজ বিএসএফ মানবাধিকার প্রতিবেদন মানবাধিকার মনিটরিং মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন সীমান্তে হত্যা

বিজ্ঞাপন

না ফেরার দেশে অঞ্জনা
৪ জানুয়ারি ২০২৫ ০১:৫৪

এই তাসকিনকে সমীহ করবেন যে কেউ
৪ জানুয়ারি ২০২৫ ০১:৪৭

আরো

সম্পর্কিত খবর