হাসপাতালে যাচ্ছেন না খালেদা জিয়া, চিকিৎসা নেবেন বাসাতেই
২৮ মার্চ ২০২৪ ০০:২৭ | আপডেট: ২৮ মার্চ ২০২৪ ১২:২৬
ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। তবে হাসপাতালে নয়, বাসাতে রেখেই তাকে চিকিৎসা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা।
বুধবার (২৭ মার্চ) দিবাগত মধ্যরাতে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. জাহিদ হোসেন এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
ডা. জাহিদ বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের বর্তমান শারীরিক পরিস্থিতিতে মেডিকেল বোর্ড উনার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছে। তাকে বাসায় রেখেই চিকিৎসা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বোর্ড। আপাতত উনি বাসাতেই চিকিৎসা নেবেন।
আগের তুলনায় খালেদা জিয়া শারীরিকভাবে কিছুটা ভালো বোধ করছেন জানিয়ে ডা. জাহিদ বলেন, উনি দুপুরের চেয়ে ভালো বোধ করছেন। নিয়ে আপনাদের আকুলতা ও উদ্বেগে আমরা কৃতজ্ঞ। দেশবাসীর কাছে উনি দোয়া চেয়েছেন।
৭৮ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস এবং কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য জটিলতায় ভুগছেন।
সর্বশেষ গত ১৩ মার্চ তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। এর আগে টানা পাঁচ মাস হাসপাতালে চিকিৎসা নেন তিনি। পরে চিকিৎসকের পরামর্শে গত ১১ জানুয়ারি এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরেন বিএনপি চেয়ারপারসন। এরপর থেকে তিনি তার গুলশানের বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এর আগে ২০২১ সালের নভেম্বরে খালেদা জিয়ার লিভার সিরোসিস ধরা পড়ার পর থেকে চিকিৎসকরা তাকে বিদেশে পাঠানোর পরামর্শ দিয়ে আসছেন। বিএনপি প্রধানের পরিবারও বিভিন্ন সময়ে সরকারের কাছে অনুমতি চেয়ে আসছে। কিন্তু আইনমন্ত্রী বারবার বলেছেন, দুর্নীতির মামলায় সাজা স্থগিত করার শর্তে খালেদার মুক্তি হওয়ায় চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার সুযোগ নেই।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় নিম্ন আদালতের পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের পর ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পুরান ঢাকার কারাগারে পাঠানো হয়। পরে একই বছর আরেকটি দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন তিনি। নভেল করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সরকার ২০২০ সালের ২৫ মার্চ খালেদা জিয়াকে তার গুলশানের বাড়িতে থাকার এবং দেশ ত্যাগ না করার শর্তে তার সাজা স্থগিত করে একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে সাময়িকভাবে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়। এরপর প্রতি ছয় মাস পরপরই তার এ মুক্তির সময় বাড়ানো হয়েছে।
সারাবাংলা/এজেড/পিটিএম/টিআর