সন্ধ্যায় শেষ করতে হবে নববর্ষের অনুষ্ঠান, অপপ্রচারে ব্যবস্থা
২৭ মার্চ ২০২৪ ১৬:২৪ | আপডেট: ২৭ মার্চ ২০২৪ ১৬:৫৬
ঢাকা: এবার পবিত্র ঈদুল ফিতরের সঙ্গে উদযাপিত হবে বাংলা বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। এ উপলক্ষে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার। নববর্ষকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালালে নেওয়া হবে আইনগত ব্যবস্থা। আর নববর্ষকেন্দ্রীক সব অনুষ্ঠান সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে শেষ করতে হবে।
বুধবার (২৭ মার্চ) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ উদযাপন উপলক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এর বিস্তারিত জানানো হয়। সেখানে বলা হয়, দেশব্যাপী বর্ষবরণ অনুষ্ঠান, বৈশাখী মেলা, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানসমূহে জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ ও আয়োজকরা সমন্বয় করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন।
রমনার বটমূল, রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, হাতিরঝিল ও রবীন্দ্র সরোবরসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সুইপিং, ডগ স্কোয়াডসহ বিশেষ নিরাপত্তা নেওয়া হবে। এসব অনুষ্ঠানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রয়োজনীয় ফোর্স ও গোয়েন্দা সংস্থার বিশেষ নজরদারি থাকবে।
এছাড়া বাংলা নববর্ষ উদযাপন নিয়ে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যারা অপপ্রচার চালানোর চেষ্টা করছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। বাংলা একাডেমি ও বিসিক কর্তৃক বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে নববর্ষের মেলায় প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।
এছাড়া রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, হাতিরঝিল ও রবীন্দ্র সরোবরসহ দেশে যেসব অনুষ্ঠান হবে তা সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে শেষ করতে হবে। বর্ষবরণ অনুষ্ঠান সমূহে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকতে হবে। নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবী ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সমন্বয় করে নিরাপত্তা প্রদান করবে।
নববর্ষে কূটনৈতিক এলাকাসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ও স্থাপনার বিশেষ নিরাপত্তা প্রদান করা হবে। নববর্ষ উদযাপনকালে ঢাকা মহানগরের অনুষ্ঠানসমূহে ও সারাদেশে অনুষ্ঠেয় অনুষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অগ্নিনির্বাপক গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্সসহ ফায়ার সার্ভিস টিম থাকবে। মেডিকেল টিম থাকবে।
বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে ইভটিজিং, ছিনতাই/ পকেটমারসহ যেকোনো ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা প্রতিরোধে মোবাইল কোর্ট ও গোয়েন্দা বাহিনী নিয়োজিত থাকবে। বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে ভুভুজেলা বাঁশি বাজানো নিষিদ্ধ থাকবে। নববর্ষে দেশের কারাগারসমূহে উন্নত মানের খাবার পরিবেশন করা হবে এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও আয়োজন করা হবে। কোনো ফানুস বা আতশবাজি ফুটানো যাবে না।
সারাবাংলা/জেআর/এমও