‘ভারতের আনুগত্য নিয়ে আওয়ামী লীগ দেশ চালাচ্ছে’
২৩ মার্চ ২০২৪ ১৬:১৬ | আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২৪ ১৮:৫৬
ঢাকা: ভারতের আনুগত্য নিয়ে আওয়ামী লীগ দেশ চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।
শনিবার (২৩ মার্চ) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের উদ্যোগে ‘অরক্ষিত স্বাধীনতা, মানবাধিকার, ও গণতন্ত্রবিহীন বিপন্ন বাংলাদেশ: আমাদের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ অভিযোগ করেন।
হাফিজ উদ্দিন বলেন, ‘দিল্লী থাকলে এই সরকার আছে। কত খানি নির্লজ্জভাবে তারা (আওয়ামী লীগ) প্রতিবেশী দেশের আনুগত্য স্বীকার করে যাচ্ছে। আমরা কি এজন্য যুদ্ধ করেছি? রায়ালপিন্ডি থেকে সরে এসে আমরা কি দিল্লীর অধীনস্ত হওয়ার জন্যই যুদ্ধ করেছি? কখনই না। বাংলাদেশের স্বাধীনচেতা মানুষ কখনোই এই ধরনের গোলামী মেনে নেবে না।’
তিনি বলেন, ‘আমরা দেশবাসীর জন্য সংগ্রাম করছি। এই সংগ্রামে অবশ্যই আমাদের জয়ী হতে হবে। চুল-দাড়ি পেকে গেলেও এই সংগ্রামে মুক্তিযোদ্ধাদেরকেই নেতৃত্ব দিতে হবে। আপনাদের দিকে তাকিয়ে একজন তরুণ অনুপ্রাণিত হবে। যাদের আজকে চুল-দাড়ি সাদা হয়ে গেছে, তারা ১৭ /১৮ বছর বয়সে সাব মেশিন গান, সেভেন বন্ড ৬২ চাইনিজ রাইফেল নিয়ে বীরবিক্রমে পাকিস্তানি বাহিনীর মোকাবিলা করেছেন। এই বৃদ্ধদেরকেই পরবর্তী প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করে যেতে হবে।’
হাফিজ বলেন, ‘দুঃখ লাগে ৮০ বছর বয়েসে গাড়ি পোঁড়ানো মামলায় এই স্বাধীনতার মাসে জেলে যেতে হল। আমি আশা করি এজন্য তারা (ক্ষমতাসীনরা) একদিন লজ্জিত হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের এভাবে অসসন্মান করার অধিকার কারও নেই। অপরাধ করলে নিশ্চয়ই সাজা হবে। কিন্তু আমি এবং আলতাফ হোসেন চৌধুরী জনতা ব্যাংকের গাড়ি পোঁড়াতে গিয়েছিলাম! সেদিন তো কোনো ঘটনাই ঘটেনি ঢাকা শহরে।’
তিনি বলেন, ‘শেখ মুজিবুর রহমানের অনেক কৃতিত্ব আছে। কিন্তু একজন সৈনিক (জিয়াউর রহমান) জীবন বিপন্ন করে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছে। এই কৃতিত্ব তাকে দিতে হবে। এটুকু কৃতিত্ব অন্যকে দিতে কেন এতো অপরাগতা? কেন বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমানকে পাকিস্তানি এজেন্ট বলে প্রমাণ করতে চান?’
হাফিজ বলেন, ‘দেশে খারাপ সব কিছু নাকি বিএনপি করেছে। জিনিসপত্রের দাম নাকি বিএনপি বাড়াচ্ছে- এটা তাদের সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্য। আমিও বাণিজ্যমন্ত্রী ছিলাম বেগম খালেদা জিয়ার সরকারের শেষ ছয় মাস। চেষ্টা করেছি বাজার নিয়ন্ত্রণ করার জন্য। ওই সময় বাজার দর মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে ছিল।’
মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে ও সাহাবুদ্দিন রেজার সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, তথ্য ও গবেষণা বিষক সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন নসু, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খান, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুল হালিম মিঞা, সৈয়দ সরোয়ার আলম, অ্যাডভোকেট আবদুস সামাদ, ফরিদ উদ্দিন, মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার, বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের শাহ নেছারুল হক, কাজী মনিরুজ্জামান মুনির, নুরুর রহমান জাহাঙ্গীর প্রমুখ বক্তব্য দেন।
সারাবাংলা/এজেড/এনইউ