বেতন না দিয়ে কারখানা বন্ধ, টঙ্গীতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ
২০ মার্চ ২০২৪ ১৬:১০ | আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৪ ১৭:৪৬
গাজীপুর: বকেয়া বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গীর একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। বুধবার (২০ মার্চ) সকাল নয়টার দিকে টঙ্গীর খাঁ-পাড়া এলাকার সিজন্স ড্রেসেস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। পরে সকাল দশটার দিকে তারা টঙ্গী বাজার এলাকার কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতর কার্যালয়ে অবস্থান নেন।
জানা যায়, কারখানাটিতে প্রায় দুই হাজার শ্রমিক কাজ করতেন। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বিকেলে কারখানা মালিক এক হাজার ৭শ জন শ্রমিকের ফেব্রুয়ারি মাসের পাওনা বেতন পরিশোধ করেন। এ সময় তিনশ শ্রমিককে বেতন পরিশোধ করেননি। বেতন পরিশোধের দাবি জানিয়ে ৩০০ শ্রমিক মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কারখানায় কর্মবিরতি পালন করে। এরই এক পর্যায়ে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা কারখানার অন্যান্য কর্মকর্তাদের অফিস কক্ষে আটকে রাখেন। বুধবার শ্রমিকদের বেতন পরিশোধের আশ্বাস দিলে রাত সাড়ে নয়টার দিকে শ্রমিকরা কারখানা থেকে বেরিয়ে যান।
বুধবার সকালে কারখানাটির দুই হাজার শ্রমিক কাজে যোগ দিতে কারখানায় যান। এ সময় কারখানার প্রধান ফটকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধের নোটিশ দেখতে পেয়ে শ্রমিকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। পরে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নিলে গাজীপুর থেকে ঢাকামুখী লেনে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সিজন্স ড্রেসেস লিমিটেড কারখানার নির্বাহী পরিচালক আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতর টঙ্গী কার্যালয়ের উপমহাপরিদর্শক আহমেদ বেলাল বলেন, বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে বসে আছেন। কারখানা মালিকের সঙ্গে কথা বলেতে চেষ্টা চালাচ্ছি।
গাজীপুর শিল্প পুলিশের পরিদর্শক (টঙ্গী জোন) ওসমান গনি বলেন, শ্রমিকদের পাওনা বেতনের দাবিতে মঙ্গলবার থেকেই কারখানাটিতে শ্রমিক অসন্তোষের ঘটনা ঘটে। সকালে শ্রমিকরা কারখানায় কাজে যোগ দিতে গেলে কারখানাটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের নোটিশ দেখতে পেয়ে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। পরে তারা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নেন। বেলা বাড়লে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা টঙ্গী বাজার এলাকার কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের কার্যালয়ে অবস্থান নেন। পরে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে পুলিশ তাদেরকে বুঝিয়ে সেখান থেকে সরিয়ে দেয়। এখন পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক। যানচলাচলও স্বাভাবিক রয়েছে।
সারাবাংলা/এনইউ