Tuesday 07 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চসিক কাউন্সিলর টিনু কারাগারে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১৯ মার্চ ২০২৪ ১৫:২৪ | আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৪ ১৬:০৪

কাউন্সিলর টিনুকে কারাগারে নেওয়া হচ্ছে। ছবি: সারাবাংলা।

চট্টগ্রাম ব্যুরো: যুবলীগ কর্মীকে তুলে নিয়ে ওয়ার্ড কার্যালয়ে আটকে মারধরের মামলায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর নুর মোস্তফা টিনুকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম সরকার হাসান শাহরিয়ার তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এদিন কাউন্সিলর টিনু পাঁচলাইশ থানায় দায়ের হওয়া একটি মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেছিলেন।

বিজ্ঞাপন

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (প্রসিকিউশন) নিশান চাকমা সারাবাংলাকে বলেন, ‘অপহরণের পর মারধরের অভিযোগে দায়ের হওয়া এক মামলায় কাউন্সিলর নুর মোস্তফা টিনু এজাহারভুক্ত এক নম্বর আসামি। তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেছিলেন। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে। আদেশমূলে তাকে কারাগারে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।’

গত ৩ মার্চ রাতে মেহেদী হাসান রাকিব নামে চকবাজার এলাকার এক যুবলীগ কর্মীকে নিজের অনুসারী সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে তুলে ওয়ার্ড কার্যালয়ে নিয়ে বেধড়ক মারধর করেন নুর মোস্তফা টিনু। আহত রাকিব ওই রাতেই টিনুসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১৫ থেকে ২০ জনের বিরুদ্ধে পাঁচলাইশ থানায় মামলা দায়ের করেন।

নুর মোস্তফা টিনু চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ১৬ নম্বর চকবাজার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। নিজেকে যুবলীগ নেতা ও শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী হিসেবে পরিচয় দেন টিনু। নির্বাচিত কাউন্সিলরের মৃত্যুতে ২০২১ সালের ৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত উপ-নির্বাচনে টিনু ৭৮৯ ভোট পেয়ে জয়ী হন।

মারধরের শিকার মেহেদী হাসান রাকিব আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য নুরুল আজিম রনির অনুসারী। রনিও শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

বিজ্ঞাপন

কাউন্সিলর নুর মোস্তফা টিনু ও চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনির মধ্যে স্থানীয়ভাবে রাজনৈতিক বিরোধের বিষয়টি বিভিন্নসময় গণমাধ্যমে এসেছে।

মামলার এজাহারে রাকিবের ভাষ্য অনুযায়ী, ঘটনার রাতে তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে তার বন্ধু অভিজিৎ সেনের মালিকানাধীন ‘একুশে ড্রাগ হাউজ’ ফার্মেসিতে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন। রাজনৈতিক বিরোধের জেরে টিনু প্রথমে তাকে মোবাইলে হুমকিধমকি দেন এবং একপর্যায়ে ১৫-২০ সন্ত্রাসী পাঠিয়ে জোরপূর্বক তুলে চকবাজার ওয়ার্ড কার্যালয়ে নিয়ে যান। সেখানে রাকিবকে একটি চেয়ারে বসিয়ে কয়েকজন ‍যুবক ঘিরে ধরেন এবং কাউন্সিলর তাকে মারধর করেন ও হত্যার হুমকি দেন।

এ ঘটনার পরদিন পাঁচলাইশ থানার সামনে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করেছিলেন মেহেদী হাসান রাকিবের রাজনৈতিক সহকর্মীরা। সেখানে হামলায় ৫-৬ জন গুরুতর আহত হন। রাকিব হামলার জন্য টিনুর অনুসারীদের দায়ী করেছিলেন।

সারাবাংলা/আরডি/ইআ

চসিক কাউন্সিলর টপ নিউজ নুর মোস্তফা টিনু যুবলীগ কর্মী

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর