অভিযানে চাঁদাবাজির অভিযোগ, সারা দেশে রেস্তোরাঁ বন্ধের হুঁশিয়ারি
১৮ মার্চ ২০২৪ ১৩:৩৯ | আপডেট: ১৮ মার্চ ২০২৪ ১৭:৫৭
ঢাকা: রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে অগ্নিকাণ্ডের পর সারাদেশে রেস্তোরাঁয় অভিযানের নামে চাঁদাবাজি চলছে বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি। এর প্রতিবাদে সারা দেশে একদিনের জন্য সব রেস্তোরাঁ বন্ধ রাখা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা।
সোমবার (১৮ মার্চ) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির পক্ষ থেকে এমন হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের মহাসচিব ইমরান হাসান বলেন, রমজানের মধ্যেও শ্রমিক-কর্মচারীদের গ্রেফতার ও রেস্তোরাঁয় অভিযান বন্ধ হয়নি। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নেতিবাচক প্রচারণা। এসবের পরিপ্রেক্ষিতে রেস্তোরাঁয় গ্রাহক আসা কমে গেছে।
অভিযান বন্ধ না হলে রেস্তোরাঁ বন্ধ রাখার হুঁশিয়ারি দিয়ে ইমরান বলেন, বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষায় এবং জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে আগামী বুধবার (২০ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি পেশ কর্মসূচি পালন করবে। এরপর ধারাবাহিকভাবে প্রতীকী হিসেবে একদিনের জন্য সারাদেশে রেস্তোরাঁ বন্ধের কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। প্রয়োজনে পর্যায়ক্রমে অনির্দিষ্টকালের জন্য সব রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দেওয়া হবে।
রেস্তোরাঁ বন্ধ কোনো সমাধান নয় দাবি করে ইমরান হাসান বলেন, স্থায়ী সমাধানের জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের টাস্ক ফোর্স গঠন করা যেতে পারে। দেশের রেস্টুরেন্ট খাতের বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানকে রক্ষা করুন। নিরাপদ খাদ্য সরবরাহ করতে পরামর্শ দিন। সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিন। রমজান মাসে সিলগালা নাটক বন্ধ করুন। সরকারি সব সংস্থার দায়িত্ব পালনে অবহেলার জন্য ব্যাবসায়ীরা দায়ী নয়।
তিনি আরও বলেন, এখন সময় এসেছে রেস্তোরাঁগুলোতে হয়রানি বন্ধ করে বন্ধ করা রেস্তোরাঁ এখনই খুলে দেওয়া। রেস্তোরাঁ শিল্পে নিয়োজিত কর্মীদের ঈদের আগে চলমান মাসের বেতন-ভাতা ও বোনাস দিতে হবে। রেস্তোরাঁ বন্ধ থাকলে মালিকরা কীভাবে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-বোনাস দেবেন? এ পরিস্থিতিতে সংকট থেকে উত্তরণে কোনো নির্দেশনা না দিয়ে গ্রেফতার ও রেস্তোরাঁ বন্ধ কোনো সুফল বয়ে আসবে না।
গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানী ঢাকার বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে আগুন লাগলে কমপক্ষে ৪৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন। ওই ভবনের প্রায় সব তলাতেই রেস্তোরাঁ ছিল। কিন্তু ভবনটিতে ছিল না জরুরি নির্গমণ সিঁড়ি ও পর্যাপ্ত অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা।
ওই ঘটনার পরপরই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান শুরু করে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক), ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন ও ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। অভিযানে রাজধানীজুড়েই বেশকিছু রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দেওয়া হয়। অভিযানের ‘আতঙ্কে’ অনেক রেস্তোরাঁর মালিক নিজেদের উদ্যোগেই রেস্তোরাঁ বন্ধ রেখেছেন। ফলে এসব রেস্তোরাঁর কর্মীরা কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। আবার ফুডপান্ডার মতো রেস্তোরাঁর খাবার সরবরাহকারীরাও কাজের সংকটে পড়েছেন।
সারাবাংলা/জেজে/ইআ
টপ নিউজ বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি