Monday 06 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

১৮০ সামরিক ঘাঁটি ও ৯ শহর আরাকান আর্মির দখলে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
১৫ মার্চ ২০২৪ ১০:৩২ | আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৪ ১০:৪৯

মিয়ানমারে চলমান গৃহযুদ্ধে বিদ্রোহীদের সঙ্গে পেরে উঠছে না জান্তা সরকারের সামরিক বাহিনী। ইতোমধ্যে বিভিন্ন রাজ্য থেকে তাদের পরাজয়ের খবর আসছে। অনেকেই বিদ্রোহীদের হাতে মারা পড়েছেন, কেউবা জীবন বাঁচাতে যুদ্ধের ময়দান ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা রাখাইন প্রদেশে। গত বছরের নভেম্বর থেকে জান্তা বাহিনীর সঙ্গে লড়াই করে  ১৮০টি সামরিক ঘাঁটি ও ৯টি শহর দখলে নিয়েছে আরাকান আর্মি (এএ)। খবর দ্য ইরাবতি।

বিজ্ঞাপন

একে একে পরাজয়ের পর মিয়ানমারের ৮০টি শহরের টেলিফোন ও ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দিয়েছে দেশটির জান্তা সরকার। রাখাইন প্রদেশের ১৭টি শহরেই এসব সেবা বন্ধ রয়েছে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করা সংগঠন আথান এ তথ্য জানিয়েছে।

আথান জানায়, সাগাইং অঞ্চলের ৩৪টি শহরের মধ্যে ২৭টি এবং কায়াহ প্রদেশের সাতটি শহরের মধ্যে ৫টিতে টেলিফোন ও ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রয়েছে। এছাড়া শান, চিন, কাচিন ও মোন প্রদেশ এবং তানিনথারি, ম্যাগওয়ে, বাগো এবং আইয়ারওয়াদি অঞ্চলের শহরগুলোর অবস্থাও একই।

সব শহরে এই ব্ল্যাকআউট একইভাবে কার্যকর হয়নি। অধিকাংশ শহরে টেলিফোন ও ইন্টারনেট সেবা বন্ধ পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আর বাকিগুলোতে শুধুমাত্র মোবাইল ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করা হয়েছিল এবং কোথাও এর গতি দুর্বল করা হয়েছিল।

দ্য ইরাবতির প্রতিবেদনে বলা হয়, বিদ্রোহী সশস্ত্র সংগঠন আরাকান আর্মি গত বছরের নভেম্বর থেকে উত্তর রাখাইন রাজ্য জুড়ে জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করছে। এই সময় প্রায় ১৮০টি জান্তা বাহিনীর সামরিক ঘাঁটি, ৯টি শহর এবং দক্ষিণ চিন রাজ্যের পুরো পালেতওয়া শহর দখল করেছে।

রাখাইনের রাজধানী সিত্তয়েতে থেকে আথান জানায়, সামরিক মালিকানাধীন টেলিকম কোম্পানি মাইটেল গত ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কাজ করছিল। তবে ওই সময় সমস্ত ওয়াই-ফাই এবং মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছিল।

আথান বলেন, বিরোধী শক্তিগুলোকে দমনের জান্তা সরকারের একটি কৌশল হলো যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্ল্যাকআউট করা। ‘এটা স্পষ্ট যে, জনসাধারণকে দমনে তথ্যের প্রবাহ গোপন করতে এবং বিপ্লবী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে জান্তা সরকার এটা করছে।’

বিজ্ঞাপন

গত বছর ওয়াশিংটন-ভিত্তিক সংস্থা ফ্রিডম হাউস’র বার্ষিক প্রতিবেদনে চীনের পর মিয়ানমারকে ইন্টারনেট স্বাধীনতার জন্য দ্বিতীয় সবচেয়ে খারাপ দেশের তালিকায় স্থান দেওয়া হয়েছে।

সারাবাংলা/এনএস

আরাকান আর্মি মিয়ানমার

বিজ্ঞাপন

চলে গেলেন প্রবীর মিত্র
৫ জানুয়ারি ২০২৫ ২৩:৪২

আরো

সম্পর্কিত খবর