অবশেষে কমিশনের হস্তক্ষেপে চলাচলের রাস্তা ফিরে পেল পরিবারটি
১৪ মার্চ ২০২৪ ২০:০২ | আপডেট: ১৪ মার্চ ২০২৪ ২২:৫৫
ঢাকা: দীর্ঘ সাত মাস অবরুদ্ধ থাকার পর জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের হস্তক্ষেপে রাজধানীর মানিকদি এলাকার আল ইমরানের পরিবার চলাচলের রাস্তাটি ফিরে পেল।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) জাতীয় মানবাধিকার কমিশন জনসংযোগ কর্মকর্তা ইউশা রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের পাশের মানিকদি এলাকায় আল ইমরান তার মা, বড় বোন এবং বোনের শিশুসন্তান নিয়ে বসবাস করতেন। তাদের বাড়িটির অবস্থান সরকারি ১৫০ ফুট রাস্তার পাশে। সেখানে তারা নিজ জমিতে বাড়ি নির্মাণ করে প্রায় ৩০ বছর ধরে বসবাস করে আসছিলেন। কিন্তু এতদিন ধরে চলাচলের জন্য ব্যবহৃত রাস্তাটি অনলাইন প্রোপার্টিজ নামক একটি ডেভেলপার কোম্পানি দেয়াল নির্মাণ করে বন্ধ করে দেয়। এরপর আল ইমরানের মা, বড় বোন ও বোনের শিশু সন্তান খাদ্য সংকটে থাকাসহ চিকিৎসার মতো মৌলিক চাহিদা থেকে বঞ্চিত হতে থাকে এবং সর্বদা প্রতিপক্ষের হামলার ভয়ে আতঙ্কিত থাকে।
এ সব বিষয়ে আল ইমরান ক্যান্টনমেন্ট থানাসহ বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ করেও কোনো ফল পাননি। পরে তিনি ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বিষয়টির সমাধান চেয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের হস্তক্ষেপের জন্য আবেদন করেন। ঘটনার পর থেকে দীর্ঘ সাত মাস আল ইমরানের মা, বড় বোন এবং বোনের শিশু বলতে গেলে গৃহবন্দী অবস্থায় অবরুদ্ধভাবে জীবনযাপন করেন।
ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগের পেয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপপরিচালককে ঘটনাস্থল সরেজমিনে পরিদর্শন করে বাস্তব অবস্থা পর্যবেক্ষণের নির্দেশ দেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে মানবাধিকার কমিশনের উপপরিচালক সুস্মিতা পাইকের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল গতকাল বুধবার (১৩ মার্চ) ঘটনাস্থল সরেজমিনে পরিদর্শন করেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, অভিযোগকারীর বাসা থেকে বের হওয়ার একমাত্র রাস্তায় প্রায় ১৫ ফুট উঁচু দেয়াল তৈরি করে দিয়ে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে করে অভিযোগকারীর পরিবারের সদস্যরা গৃহবন্দী অবস্থায় অবরুদ্ধ জীবনযাপন করছেন। এ ছাড়া, ভুক্তভোগীদের চলাচলের পথ বন্ধ করে দেওয়াতে তাদের মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে মর্মে সরেজমিন পরিদর্শনে পরিলক্ষিত হয়েছে।
এরপর অনতিবিলম্বে ওই পরিবারের চলাচলের রাস্তা খুলে দিতে অনলাইন প্রোপার্টিজ কোম্পানিকে নির্দেশ দেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। অনলাইন প্রোপার্টিজ কোম্পানি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নির্দেশনা পেয়ে ওই পরিবারের দ্রুত চলাচলের রাস্তাটি উন্মুক্ত করে দেন এবং বিষয়টি কমিশনকে অবহিত করে। ফলে কমিশনের হস্তক্ষেপে দীর্ঘ সাত মাস অবরুদ্ধ থাকার পর পরিবারটি চলাচলের রাস্তা ফিরে পেল।
সারাবাংলা/কেআইএফ/পিটিএম