গাজীপুরে আগ্নিকাণ্ডে দগ্ধরা শঙ্কামুক্ত নন: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
১৪ মার্চ ২০২৪ ১২:১৫ | আপডেট: ১৪ মার্চ ২০২৪ ১৩:১৩
ঢাকা: গাজীপুরে আগুনের ঘটনায় দগ্ধ ৩২ জনকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে ছয়জন নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) রয়েছে। তবে কারও অবস্থাই শঙ্কামুক্ত না বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সকাল সোয়া ১১টার দিকে দগ্ধদের দেখে এসব মন্তব্য করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, গাজীপুরের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩২ জন ভর্তি রয়েছেন। খুবই মর্মান্তিক ঘটনা। সকালে ইনস্টিটিউটের চিকিৎসকদের নিয়ে রোগীদের দেখেছি। সবার বাজে অবস্থা। সবারই শ্বাসনালী বার্ন রয়েছে। এর মধ্যে ছয়জন আইসিইউতে রয়েছেন। তবে কারও অবস্থাই আশঙ্কামুক্ত বলা যাচ্ছে না। শিশুদের ১০ শতাংশের বেশি হইলেই মেজর হয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বারবার ফোন দিয়ে রোগীদের খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। গুরুত্ব সহকারী রোগীদের চিকিৎসার তাগিদ দিয়েছেন তিনি।
এর আগে, গতকাল বুধবার (১৩ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এই বিস্ফোরণে নাদিমের (২২) ৮৫ শতাংশ, তারেক রহমানের (১৭) ২০ শতাংশ, মিসেস নার্গিসের (২৫) ৯০ শতাংশ, মশিউরের (২২) ৫২ শতাংশ, রতনা বেগমের (৪০) ১০ শতাংশ, শারমিনের (১২) ৩ শতাংশ, সাদিয়ার (১৮) ৫ শতাংশ, কুদ্দুস খানের (৪৫) ৮০ শতাংশ, ইয়াছিন আরাফাতের (২১) ৮৫ শতাংশ, সোলায়মানের (৪৫) ৯৫ শতাংশ, মো. মুন্নাফের (১৮) ৪০ শতাংশ, মিসেস কোমেলা খাতুনের (৬৫) ৮০ শতাংশ, রামিসার (৩৬) ৩ শতাংশ, শিল্পির (৪০) ২৫ শতাংশ, লালনের (২২) ৪০ শতাংশ, মনসুরের (৪৫) ১০০ শতাংশ, মোতালেব হোসেনের (৪০) ৯৫ শতাংশ, সুমনের (২৫) ২৫ শতাংশ, আজিজুলের (২৪) ৩ শতাংশ, জহিরুল ইসলাম কুট্টির (৪০) ৫৮ শতাংশ, কবির হোসেনের (৩০) ৪৫ শতাংশ, তাওহিদের (৭) ৮০ শতাংশ, তায়েবার (৫) ৯০ শতাংশ, সুফিয়ার (৮) ৮ শতাংশ, নিলয়ের (৩) ৮ শতাংশ, রাহিমার (৩) ১০ শতাংশ, নিরবের (৭) ৩২ শতাংশ, মো. সোলায়মানের (৬) ৮০ শতাংশ, গোলাম রাব্বীর (১২) ৯০ শতাংশ, মহিদুলের (২৪) ৯৫ শতাংশ, নাঈমের (১৩) ৪০ শতাংশ ও আরিফের (৪০) ৭০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।
সারাবাংলা/এসএসআর/এনএস