Tuesday 07 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সোমালিয়ার পথে জিম্মি জাহাজ, এখনও ২৭৫ নটিক্যাল মাইল দূরে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১৩ মার্চ ২০২৪ ১১:৪৪ | আপডেট: ১৩ মার্চ ২০২৪ ১২:৫১

জলদস্যুদের কবলে পড়া জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম ব্যুরো: ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের নিয়ন্ত্রণে থাকা বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ এখনও সোমালিয়া উপকূল থেকে ২৭৫ নটিক্যাল মাইল দূরে আছে। ধারণা করা হচ্ছে, সেটি উপকূলে পৌঁছার পর যোগাযোগ স্থাপন হবে এবং নাবিকদের সর্বশেষ অবস্থা জানা যাবে।

বুধবার (১৩ মার্চ) সকালে নাবিকদের সংগঠন বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএমওএ) সাধারণ সম্পাদক মো. শাখাওয়াত হোসেন সারাবাংলাকে জানান, ভ্যাসেল ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট থেকে এমভি আবদুল্লাহ’র সর্বশেষ অবস্থান তারা জানতে পেরেছেন।

বিজ্ঞাপন

শাখাওয়াত সারাবাংলাকে বলেন, ‘জাহাজটি সোমালিয়া উপকূল থেকে এখনও ২৭৫ নটিক্যাল মাইল দূরে আছে। উপকূলে পৌঁছাতে আরও দেড়দিন অর্থাৎ ৩৬ ঘন্টার মতো সময় লাগতে পারে।’

এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি চট্টগ্রামের কবির স্টিল রি-রোলিং মিলস (কেএসআরএম) গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এসআর শিপিংয়ের মালিকানাধীন।

মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজটি সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে। ওই জাহাজের ২৩ নাবিককে জিম্মি করা হয়।

এসআর শিপিংয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ মেহেরুল করিম সারাবাংলাকে জানান, আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে জাহাজটি সংযুক্ত আরব-আমিরাতের দুবাই যাচ্ছিল। জাহাজে থাকা নাবিকদের কাছ থেকে তারা জলদস্যু আক্রান্ত হওয়ার তথ্য জানতে পারেন।

কেএসআরএম গ্রুপের মুখপাত্র মিজানুল ইসলাম সারাবাংলাকে জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর নাবিকদের সঙ্গে সর্বশেষ যোগাযোগ হয়। তখন তারা সবাই সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছিলেন। এরপর জলদস্যুরা নাবিকদের মোবাইল কেড়ে নেয়ায় আর যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।

বিজ্ঞাপন

বিএমএমওএ সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘অাশা করছি, উপকূলে পৌঁছার পর নাবিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাবে। মূলত উপকূলে জাহাজ নেয়ার পরই এ পরিস্থিতির পরবর্তী তথ্য মিলবে।’

জাহাজে থাকা নাবিকেরা হলেন- জাহাজের মাস্টার মোহাম্মদ আবদুর রশিদ, চীফ অফিসার আতিকুল্লাহ খান, সেকেন্ড অফিসার মোজাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, থার্ড অফিসার এন মোহাম্মদ তারেকুল ইসলাম, ডেক ক্যাডেট সাব্বির হোসাইন, চীফ ইঞ্জিনিয়ার এ এস এম সাইদুজ্জামান, সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. তৌফিকুল ইসলাম, থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. রোকন উদ্দিন, ফোর্থ ইঞ্জিনিয়ার তানভীর আহমেদ, ইঞ্জিন ক্যাডেট আইয়ুব খান, ইলেকট্রিশিয়ান ইব্রাহীম খলিল উল্লাহ এবং ক্রু মো. আনোয়ারুল হক, মো. আসিফুর রহমান, মো. সাজ্জাদ হোসেন, জয় মাহমুদ, মো. নাজমুল হক, আইনুল হক, মোহাম্ম শ্মসুদ্দিন, মো . আলী হোসেন, মোশাররফ হোসেন শাকিল, মো. শরিফুল ইসলাম, মো. নুর উদ্দিন ও মো. সালেহ আহমদ।

এর আগে, ২০১০ সালের ৫ ডিসেম্বর আরবসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল একই প্রতিষ্ঠানের আরেকটি জাহাজ ‘এমভি জাহান মণি’। ওই জাহাজের ২৫ বাংলাদেশি নাবিকের পাশাপাশি এক ক্যাপ্টেনের স্ত্রীসহ ২৬ জনকে ১০০ দিন জিম্মি করে রাখা হয়েছিল। সরকারি উদ্যোগসহ নানা প্রক্রিয়ায় ২০১১ সালের ১৪ মার্চ জিম্মিদের মুক্তি দেয়া হয়। ১৫ মার্চ তারা বাংলাদেশে ফিরে আসেন।

সারাবাংলা/আরডি/ইআ

জলদস্যু টপ নিউজ ভারত মহাসাগর

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর