ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের কবলে বাংলাদেশি জাহাজ
১২ মার্চ ২০২৪ ১৭:৫৮ | আপডেট: ১২ মার্চ ২০২৪ ২৩:০৮
চট্টগ্রাম ব্যুরো: ভারত মহাসাগরে বাংলাদেশি একটি জাহাজ সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়েছে। তারা জাহাজটির ২৩ জন নাবিককে জিম্মি করেছে। তবে জিম্মি নাবিকরা সুস্থ আছেন বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বেলা ১২টার দিকে এমভি আবদুল্লাহ নামে বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজটি সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে। জাহাজটি চট্টগ্রামের কবির স্টিল রি-রোলিং মিলস (কেএসআরএম) গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এসআর শিপিংয়ের মালিকানাধীন।
জাহাজে থাকা একজন বাংলাদেশি নাবিকের পাঠানো হোয়াটস অ্যাপ বার্তায় জানা গেছে, শ’খানেক জলদস্যু জাহাজটিকে আক্রমণ করে। সেটি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পর ২৩ বাংলাদেশি নাবিককে জিম্মি করা হয়। তাদের কেবিনে রাখা হয়েছে। জাহাজে অন্তত ৫০ জন সশস্ত্র জলদস্যু অবস্থান করছে। তবে নাবিকরা সুস্থ আছেন। জিম্মি করা হলেও তাদের কোনো আঘাত করা হয়নি। জাহাজটিকে জলদস্যুরা সোমালিয়া উপকূলের দিকে নিয়ে যেতে বাধ্য করছে।
এসআর শিপিংয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ মেহেরুল করিম সারাবাংলাকে জানান, আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে জাহাজটি সংযুক্ত আরব-আমিরাতের দুবাই যাচ্ছিল। জাহাজে থাকা নাবিকদের কাছ থেকে তারা জলদস্যু আক্রান্ত হওয়ার তথ্য জেনেছেন। এ বিষয়ে তারা খোঁজখবর নিচ্ছেন।
জানা গেছে, জাহাজটির নাবিকদের মধ্যে সাত জন বাংলাদেশ মেরিন একাডেমির ক্যাডেট আছেন। এরা হলেন- চিফ অফিসার আতিকুল্লাহ খান, সেকেন্ড অফিসার মোজাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, থার্ড অফিসার মো. তারেকুল ইসলাম, ডেক ক্যাডেট মো. সাব্বির হাসান, চিফ ইঞ্জিনিয়ার আ স ম সাইদুজ্জামান, থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. রোকন উদ্দিন এবং ইঞ্জিন ক্যাডেট আইয়ূব খান।
এর আগে, ২০১০ সালের ৫ ডিসেম্বর আরবসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল একই প্রতিষ্ঠানের জাহাজ ‘এমভি জাহান মণি’। ওই জাহাজের ২৫ বাংলাদেশি নাবিকের পাশাপাশি এক ক্যাপ্টেনের স্ত্রীসহ ২৬ জনকে ১০০ দিন জিম্মি করে রাখা হয়েছিল। সরকারি উদ্যোগসহ নানা প্রক্রিয়ায় ২০১১ সালের ১৪ মার্চ জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হয়। ১৫ মার্চ তারা বাংলাদেশে ফিরে আসেন।
সারাবাংলা/আরডি/পিটিএম