ঈদবাজারে আগুনের ঝুঁকি— সতর্ক করলেন সিএমপি কমিশনার
১১ মার্চ ২০২৪ ২৩:১৪ | আপডেট: ১২ মার্চ ২০২৪ ১১:৩৩
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামে ঈদের কেনাকাটায় ব্যস্ত হয়ে ওঠা মার্কেট-শপিং মলে অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি নিয়ে সবাইকে সতর্ক করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়।
রাজধানীর বেইলি রোডে একাধিক রেস্তোঁরা থাকা ভবনে অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানি এবং সম্প্রতি এস আলমের চিনির গুদামে ভয়াবহ আগুনের পর সিএমপির এ শীর্ষ কর্মকর্তা এমন আশঙ্কা তুলে ধরে সবার সহযোগিতা চেয়েছেন।
সোমবার (১১ মার্চ) সকালে রমজানে চট্টগ্রাম নগরীর আইনশৃঙ্খলা ও যানজট পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন সিএমপি কমিশনার। নগরীর দামপাড়া পুলিশ লাইনের মাল্টিপারপাস শেডে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সিএমপি কমিশনার বলেন, ‘এখানে অনেকগুলো বিপণি বিতান বা ব্যবসায়িক কেন্দ্রের রাস্তা একেবারে সংকীর্ণ, ঘনবসতি। আবাসিক এলাকা ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান আছে পাশাপাশি, সেখানে প্রচুর লোকজনের বসবাস। হেঁটে চলার লোকজনও অনেক, দোকান তো বাদই দিলাম। সেক্ষেত্রে আমাদের অধিক সচেতনতা থাকা দরকার। কোথাও আগুন লাগলে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করে দিতে হবে। সাধারণ মানুষের সহায়তা এ ক্ষেত্রে খুব জরুরি।’
সভায় সবচেয়ে বেশি আলোচনা হয় যানজট ও চলমান হকার উচ্ছেদ নিয়ে। রমজানে পোশাক কারখানায় অস্থিরতা ও সিডিএর চলমান এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজের জন্য যানজটের প্রসঙ্গ উঠে আসে। তবে তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ-বিকেএমইএ এবং চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) কোনো প্রতিনিধি সভায় ছিলেন না। এ নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করেন সিএমপি কমিশনার।
যানজট এড়াতে সিএমপি কমিশনার রোজার সময় দিনের বেলায় নির্মাণ সামগ্রী বহনকারী বড় গাড়িগুলো নির্ধারণ করে দেওয়া সময়ে চালানোর অনুরোধ করেন। হকার উচ্ছেদ ও ব্যাটারিচালিত রিকশাসহ বিভিন্ন বিষয়ে সভায় উপস্থিত কয়েকজনের বক্তব্যেরও জবাব দেন তিনি।
সিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আপনারা ব্যাটারিচালিত রিকশা উচ্ছেদের জন্য দাবি করছেন। আমার পুলিশ সদস্যরা রিকশা জব্দ করে থানায় আনল, কিন্তু সেগুলো রাখার তো জায়গা নেই। বিভিন্নভাবে এগুলো চলছে। তাদের ধরা হলে আপনারাই ফেসবুকে দেবেন। একইভাবে আপনারা হকারদের উচ্ছেদের জন্য বলেন। কিন্তু জীবনযাপনের অমানবিক বিষয়টি মিডিয়ায় তুলে ধরা হয়। কিন্তু আমাদের যেসব বিড়ম্বনা আসে, সেগুলো তো কেউ দেখে না।’
ব্যবসায়ী সমিতির কয়েকজন প্রতিনিধি মার্কেট-শপিং মলে ফোর্স বাড়ানোর দাবি করেন। জবাবে সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায় বলেন, ‘সবাই তাদের মার্কেটে ফোর্স বাড়ানোর কথা বলেন। কিন্তু এত ফোর্স দেওয়া তো সম্ভব নয়। গত ২০ বছরে নগরীতে মার্কেট বড়েছে, কোথাও কোন খালি জায়গা নেই। কিন্তু কোথাও তো রাস্তা বাড়েনি।’
সভায় সিএমপির ট্রাফিক বিভাগের উত্তর জোনের উপকমিশনার জয়নুল আবেদীন, দক্ষিণ জোনের উপকমিশনার নাসির উদ্দিন, উপকমিশনার (পশ্চিম) নিহাদ আদনান তাইয়ান, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি ছালামত আলী ও সাধারণ সম্পাদক মো. ইউসুফ, তামাকমুণ্ডি লেইন বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আহমেদ কবির দুলাল বক্তব্য রাখেন।
এ ছাড়া সিটি করপোরেশন, ফায়ার সার্ভিসসহ বিভিন্ন সরকারি সংস্থা এবং চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স, জুনিয়র চেম্বার অব কমার্সসহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা আলোচনায় অংশ নেন।
সারাবাংলা/আরডি/টিআর