রমজানে স্কুল খোলা রাখতে আপিল বিভাগে রাষ্ট্রপক্ষ
১১ মার্চ ২০২৪ ১৬:২০ | আপডেট: ১১ মার্চ ২০২৪ ১৯:২৪
ঢাকা: পবিত্র রমজান মাসে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় খোলা রাখতে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।
সোমবার (১১ মার্চ) সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ সাইফুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে এ আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে।
এর আগে রমজানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্তের ওপর দুই মাসের স্থগিতাদেশ দেন হাইকোর্ট।
রমজানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় খোলা রাখার প্রজ্ঞাপন চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিটের শুনানি শেষে রোববার (১০ মার্চ) বিচারপতি কেএম কামরুল কাদের এবং বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
রুলে রমজান মাসের প্রথম ১০ (দশ) দিন প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং রমজান মাসের প্রথম ১৫ (পনের) দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয় খোলা রাখার সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ কে এম ফয়েজ ও আইনজীবী মাহমুদা খানম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. সাইফুজ্জামান।
আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ কে এম ফয়েজ বলেন, আসন্ন রমজান মাসে প্রথম ১০ (দশ) দিন প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রথম ১৫ (পনের) দিন খোলা রাখার জন্য গত ৮ ফেব্রুয়ারি আদেশ জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ওই আদেশ চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিটের শুনানি নিয়ে আদালত রমজান মাসে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় খোলা রাখার সিদ্ধান্ত দুই মাসের জন্য স্থগিত করেছেন। পাশাপাশি রমজান মাসে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় খোলা রাখার সিদ্ধান্ত কেন বাতিল ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এই আদেশের ফলে রমজানের পুরো মাস প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ রাখার জন্য গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর সরকারের নেওয়া সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে।
এর আগে, গত সপ্তাহে আসন্ন রমজান মাসে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় খোলা রাখার সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পূর্ব রাজাবাজারের রোটারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী আহমাদ সারাহ মাহবুবা চৌধুরীর বাবা শফিউর রহমান চৌধুরী হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।
রিটে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব, শিক্ষা সচিব, উপসচিব প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব, উপসচিব শিক্ষা সচিব, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ (ডিজি), সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।
সারাবাংলা/কেআইএফ/এনইউ