প্রাতঃভ্রমণরত বৃদ্ধাকে খুন, ২ ছিনতাইকারীর ফাঁসির আদেশ
১০ মার্চ ২০২৪ ১৫:৩৬ | আপডেট: ১০ মার্চ ২০২৪ ১৬:০০
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামে ছয় বছর আগে প্রাতঃভ্রমণের সময় এক বৃদ্ধাকে শ্বাসরোধ করে খুনের মামলায় দুই ছিনতাইকারীকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই রায়ে আদালত অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় আরেক আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন।
রোববার (১০ মার্চ) চট্টগ্রামের ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ বেগম সিরাজাম মুনীরা এ রায় দেন।
দণ্ডিত দুজন হলো- মো. রুবেল (২৮) ও মো. আব্বাস (৩৪)। রুবেলের বাসা নগরীর ফিরিঙ্গিবাজার ও আব্বাসের বাসা আলকরণ এলাকায় ছিল।
আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর দীর্ঘতম বড়ুয়া সারাবাংলাকে জানান, খুনের অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় রুবেল ও আব্বাসকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ছিনতাইয়ের অভিযোগও প্রমাণ হওয়ায় তাদের প্রত্যেককে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত।
এছাড়া কোনো অভিযোগ রাষ্ট্রপক্ষ প্রমাণ করতে না পারায় ফরহাদ হোসেন জাকির নামে আরেক আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
২০১৮ সালের ২৫ মে ভোরে নগরীর সদরঘাট থানার নেভাল-টু ঘাট এলাকায় হাঁটতে গিয়ে খুন হয়েছিলেন ৭৭ বছর বয়সী বৃদ্ধা মঞ্জু সেন। তার বাড়ি চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায় এবং বাসা নগরীর ফিরিঙ্গিবাজারে।
মামলার নথি পর্যালোচনায় জানা গেছে, প্রতিদিনের মতো হাঁটতে বেরিয়ে মঞ্জু রাণী সেদিন আর বাসায় ফেরেননি। মায়ের নিখোঁজের ঘটনায় ছেলে রতন কান্তি সেন কোতোয়ালী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
পরদিন ২৬ মে দুপুরে সদরঘাট থানার নেভাল-টু এলাকায় প্যাসিফিক গ্রুপের একটি পরিত্যক্ত ভবনের পাশে ঝোপঝাঁড়ের মধ্যে মঞ্জু সেনের মরদেহ পায় পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ পেশাদার ছিনতাইকারীরা এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বলে তথ্য পায়।
পুলিশ রুবেল ও আব্বাসকে শনাক্ত করে তাদের গ্রেফতার করে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা মঞ্জু সেনের সোনার কানের দুল, আংটি ও মোবাইল ছিনিয়ে নিতে তাকে শ্বাসরোধে হত্যার কথা স্বীকার করে।
গ্রেফতার রুবেল প্যাসিফিক গ্রুপের পরিত্যক্ত ভবনটিতে প্রহরী হিসেবে কাজ করতো। পাশাপাশি সে ছিনতাইয়ে জড়িত ছিল বলে মামলার নথিতে উল্লেখ আছে।
অতিরিক্ত পিপি দীর্ঘতম বড়ুয়া জানান, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সদরঘাট থানায় রতন সেনের দায়ের করা মামলা তদন্ত শেষে পুলিশ ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
২০১৯ সালের ৭ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থাপন করা ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে আদালত এ রায় দেন।
রায়ের সময় আব্বাস আদালতে ছিল। তাকে সাজা পরোয়ানামূলে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। জামিনে গিয়ে পলাতক আসামি রুবেলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন আদালত।
সারাবাংলা/আরডি/ইআ