Monday 06 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠের স্মারক স্থাপনা বানালো চসিক

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৭ মার্চ ২০২৪ ১৪:৩৮ | আপডেট: ৭ মার্চ ২০২৪ ২০:৫৯

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীর বহদ্দারহাট মোড়ে ‘বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ স্মৃতিস্মারক’ নির্মাণ করা হয়েছে। এর অদূরেই কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে প্রথম স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা এম এ হান্নান, যার মধ্য দিয়ে বাঙালি পেয়েছিল মুক্তিযুদ্ধ শুরুর আনুষ্ঠানিক বার্তা।

বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সকালে স্মৃতিস্মারক স্থাপনাটি উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।

বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সৌন্দর্যবর্ধন কাজের আওতায় ‘ট্রেড ম্যাক্স’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান ৮৫ লাখ টাকা ব্যয়ে এ স্মৃতিস্মারক নির্মাণ করেছে। স্থপতি আজমল হকের নকশায় এটি নির্মাণের দায়িত্ব পালন করেন ভাস্কর সুকান্ত ভট্টাচার্য ও মান্না ঘোষ।

ট্রেড ম্যাক্সের স্বত্ত্বাধিকারী ফরিদ মাহমুদ সারাবাংলাকে জানান, পিরামিড আকৃতির স্থাপনাটি কাচ দিয়ে তৈরি। প্রথমে একটি ফোয়ারা, এর ওপর মূল স্মৃতিস্মারক মানে কাচের স্থাপনা, এর ভেতরে একটি মাইক্রোফোনের ভার্স্কয নির্মাণ করা হয়েছে। এর তিনদিকে আরও তিনটি ঝর্ণা এবং চারপাশে বাগান করা হয়েছে।

মূল স্থাপনার উচ্চতা ১৮ ফুট এবং প্রস্থ ৩০ ফুট। সামগ্রিকভাবে প্রায় সাড়ে নয় গণ্ডা জায়গার ওপর মিনিপার্কের আদলে এ স্মৃতিস্মারকসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে।

ফরিদ মাহমুদ বলেন, ‘মাইক্রোফোনের ভাস্কর্য যেটা, সেটার মাধ্যমে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠের বিষয়টি বোঝানো হয়েছে। এর চতুর্দিকে পিরামিড আকৃতির যে স্থাপনা, তার মাধ্যমে সাড়ে সাত কোটি ঐক্যবদ্ধ জনতা বঙ্গবন্ধুর ডাকে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

‘এছাড়া ভেতরে জাতীয় চার নেতা, বীর শহীদদের স্মরণে প্রতীকী ব্লকও আছে। বাগান করা হয়েছে, সেটি পরিপূর্ণ হতে আরও কয়েকমাস লাগবে। সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে সেখানে আলোকায়ন করা হয়েছে। সব মিলিয়ে আমরা চেষ্টা করেছি, নান্দনিক আবহটা ফুটিয়ে তুলতে।’

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘চট্টগ্রাম থেকে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে প্রথম স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করা হয়েছে। সেই স্মৃতি ধরে রাখতে এই স্মৃতিফলক নির্মাণ করেছি। এ স্মৃতিফলক তরুণ প্রজন্মকে মনে করিয়ে দেবে স্বাধীনতা সংগ্রামে চট্টগ্রামের ভূমিকার কথা।’

এ সময় নগর আওয়ামী লীগ নেতা ফরিদ মাহমুদ, কাউন্সিলর মো. এসরারুল হক, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ঝুলন কুমার দাশ, স্থপতি আবদুল্লাহ আল ওমর, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/আরডি/ইআ

৭ই মার্চের ভাষণ চট্টগ্রাম চসিক টপ নিউজ স্বাধীনতার ঘোষণা স্মারক স্থাপনা