পোশাক রফতানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ করার প্রস্তাব
৫ মার্চ ২০২৪ ১৮:৪৯ | আপডেট: ৬ মার্চ ২০২৪ ০০:০৩
ঢাকা: তৈরি পোশাক রফতানির বিপরীতে উৎসে কর ১ শতাংশ থেকে কমিয়ে দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ নির্ধারণ ও তা আগামী পাঁচ বছর বহাল রাখার প্রস্তাব দিয়েছে পোশাক মালিকদের সংগঠন- বিজিএমইএ।
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) আসন্ন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রাক বাজেট আলোচনায় সংগঠনটির পক্ষে এ প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সংগঠনটির পক্ষে এ প্রস্তাব দেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান।
প্রস্তাবে পোশাক রফতানিতে দেওয়া নগদ সহয়তার ওপর আয়কর কর্তনের হার ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ নির্ধারণ, সরাসরি ও প্রচ্ছন্ন রফতানিমুখী রিসাইকেল ফাইবার মিলের কাঁচামাল স্থানীয়ভাবে সংগ্রহের ক্ষেত্রে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ এবং পরবর্তী সময়ে স্থানীয় স্পিনিং মিলে সরবরাহ ও বিক্রির ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ ভ্যাট মওকুফের দাবি জানানো হয়।
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ‘রিসাইকেল ফাইবার উৎপাদনে স্থানীয় মূল্য সংযোজন হয়। এ প্রক্রিয়ায় কোনো প্রকার পানি বা রাসায়নিক উপকরণ ব্যবহার করা হয় না এবং কোনো ধরনের কার্বনডাই অক্সাইড নিঃসরণ হয় না। ফলে পরিবেশ রক্ষায় এটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। কটনের বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ায় আমদানির সর্বনিম্ন ৩০ শতাংশ বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়নের নতুন আইন অনুযায়ী, ২০২৫ সালে সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ অরগানিক কটন বা পলিয়েস্টারের সঙ্গে আনুপাতিকহারে সংমিশ্রণে সুতি কাপড় উৎপাদন করতে হবে। বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার জিএসপি সুবিধা ২০২৬ সালে বাতিল হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ইইউভুক্ত দেশগুলোতে আমাদের গার্মেন্টস সামগ্রী কর আরোপযোগ্য হবে এবং একটি কঠিন প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হবে।’
এ সময় এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, ‘রিসাইকেল করার মাধ্যমে যদি পরিবেশ পরিচ্ছন্ন হয়, তাহলে আমরা খুঁজে খুঁজে সেটা বের করে সাপোর্ট দিতে চাই। পরিবেশের জন্য সহায়ক হলে আমাদের বাড়তি রাজস্ব দরকার নেই। রিসাইকেলের জন্য যা করণীয় আমরা করব।’
সারাবাংলা/ইএইচটি/পিটিএম