ডা. শরীফের কাছে ছিল ২টি পিস্তল, ৮১টি গুলি ও ১২টি বিদেশি চাকু
৫ মার্চ ২০২৪ ১৬:২১ | আপডেট: ৫ মার্চ ২০২৪ ১৭:৩১
সিরাজগঞ্জ: শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আরাফাত আমিন তমালকে গুলির ঘটনায় ডা. রায়হান শরীফকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ সময় সেভেন পয়েন্ট ফাইভ সিক্স বোরের অত্যাধুনিক দুটি বিদেশি পিস্তল, ৮১টি গুলি, ৪টি ম্যাগাজিন ও ১২টি বিদেশি চাকু উদ্ধার করা হয়। ডা. শরীফ ইন্টারনেটে বিদেশি পিস্তলের ছবি দেখে অস্ত্র কেনার দিকে ঝুঁকে পড়েন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) জেলা ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুলহাজ উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে, সোমবার (৪ মার্চ) সন্ধ্যায় ডা. রায়হান শরীফকে আটক করে পুলিশ। পরে দিবাগত রাত ১২ দিকে আরাফাত আমিন তমালের বাবার করা মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখায় পুলিশ।
ওসি জুলহাজ উদ্দিন বলেন, শিক্ষার্থীর পায়ে গুলি করার ঘটনায় গতকালই রায়হান শরীফকে আটক করা হয়। পরে গুলিবিদ্ধ শিক্ষার্থী তমালের বাবা আবদুল্লাহ আল আমিনের করা মামলায় ডা. রায়হান শরীফকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। গ্রেফতারের পর তার ফোনে ডাউনলোড করা অত্যাধুনিক বিদেশি পিস্তলের অনেক ছবি পাওয়া যায়। তার কাছে আরও অস্ত্র আছে কি না খোঁজ নিতে গতকাল রাতেই তাকে নিয়ে তার বিএ কলেজ রোডের প্রফেসর গার্ডেন নামের বাসায় অভিযান চালানো হয়। তবে বাসা থেকে নতুন কোনো অস্ত্র পাওয়া যায়নি।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষক রায়হান শরীফ ইন্টারনেটে বিদেশি পিস্তলের ছবি দেখলেই ডাউনলোড করে রাখতেন। তিনি বিদেশি অস্ত্র কেনার দিকে ঝুঁকে পড়েছিলেন। অস্ত্রের প্রতি বিশেষ আকর্ষণ থেকেই অস্ত্রগুলো কিনেছিলেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডা. রায়হান শরীফ স্বীকার করেন।
এ ব্যাপারে সিরাজগঞ্জ সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ডা. রায়হান শরীফের কাছ থেকে উদ্ধার করা অত্যাধুনিক দুটি বিদেশি পিস্তলই অবৈধ ছিল। অবৈধ অস্ত্র রাখায় ডিবির উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবদুল ওয়াদুদ বাদী হয়ে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনে আরেকটি মামলা করেছেন।
এ ব্যাপারে সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার (এসপি) আরিফুর রহমান মণ্ডলকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।
প্রসঙ্গত, সিরাজগঞ্জে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজে গতকাল সোমবার ক্লাসে ভাইভা চলাকালে কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের শিক্ষক ডা. রায়হান শরীফের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে শরীফ গুলি ছোড়েন। গুলিটি তমালের ডান পায়ের উরুতে লাগে। তমাল ওই মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র।
সারাবাংলা/আরএ/এনএস