Wednesday 08 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

হাইতির রাজধানী গ্যাং সদস্যদের দখলে, ক্ষমতা নেওয়ার হুমকি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
৪ মার্চ ২০২৪ ১৮:৩৩ | আপডেট: ৪ মার্চ ২০২৪ ১৮:৩৫

হাইতির রাজধানী পোর্ট অব প্রিন্সের প্রায় ৮০ শতাংশ এলাকা গ্যাং সদস্যদের দখলে। কারাগারে হামলা চালানোর পর দেশটির প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতাচ্যুত করার হুমকি দিয়েছে দেশটির গ্যাং নেতারা। গত বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) হাইতির রাজধানীতে সমন্বিত আক্রমণের ঘোষণা দেয় সম্মিলিত গ্যাং সদস্যরা।

শনিবার রাতে অন্তত দুটি কারাগার ভাঙে গ্যাং সদস্যরা। এ ঘটনায় অন্তত ১২ জন নিহত এবং প্রায় চার হাজার বন্দী পালিয়ে যায়। গ্যাং নেতারা বলছেন, তারা প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরিকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করতে চান। প্রধানমন্ত্রী হেনরিক বৃহস্পতিবার থেকে কেনিয়া সফরে রয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চাওয়া গ্যাং সদস্যরা হাইতির রাজধানীর ৮০ শতাংশ এলাকা নিজেদের দখলে নিয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

 একটি সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দেশের দুটি কারাগারে গ্যাং সদস্যরা হামলা চালায়। একটি রাজধানীতে এবং অন্যটি কাছাকাছি ক্রোয়েক্স ডেস বুকেটে। হাইতির গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, জেলে সমন্বিত হামলার আগে কর্তৃপক্ষকে বিভ্রান্ত করে অন্যান্য থানায় হামলা করা হয়েছিল।

গত বৃহস্পতিবার গ্যাং নেতা জিমি চেরিজিয়ার (ডাকনাম- বারবিকিউ) প্রধানমন্ত্রীকে অপসারণের জন্য একটি সমন্বিত আক্রমণের ঘোষণা করেন। তিনি সাবেক একজন পুলিশ কর্মকর্তা। তিনি বলেন, আমরা সবাই, প্রাদেশিক শহরে সশস্ত্র গোষ্ঠী এবং রাজধানীর সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো একত্রিত হয়েছি।

হাইতির পুলিশ ইউনিয়ন গ্যাং সদস্যদের এই ঘোষণার পর রাজধানীর প্রধান কারাগারের নিরাপত্তা বাড়াতে সামরিক বাহিনীর সাহায্য চেয়েছিল। কিন্তু এর মধ্যে শনিবার গভীর রাতে কম্পাউন্ডে হামলা চালায় গ্যাং সদস্যরা।

বিজ্ঞাপন

বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, পরদিন রোববার কারাগারের প্রধান ফটক খোলা দেখা যায়। কারাগারে কোনো কর্মকর্তাকে দেখা যায়নি। পালানোর চেষ্টা করা তিন বন্দীর লাশ কারাগার প্রাঙ্গণে মৃত অবস্থায় পড়েছিল।

বার্তাসংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, একজন সাংবাদিক কারাগারে গিয়েছিলেন, তিনি প্রায় ১০টি মৃতদেহ দেখেছেন, কিছু লাশে বুলেটের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

একজন স্বেচ্ছাসেবক কারাগার কর্মী রয়টার্সকে জানান, তিনি ক্রসফায়ারের ভয়ে ৯৯ জন বন্দীর একটি সেলে গিয়ে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছিলেন। ওই সেলেই প্রাক্তন কলম্বিয়ান সৈন্যরা ছিল, যারা হাইতির সাবেক প্রেসিডেন্ট মোয়েসের হত্যাকাণ্ডের আসামি।

রোববার পোর্ট-অ-প্রিন্সের মার্কিন দূতাবাস তার নাগরিকদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব হাইতি ছেড়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। ফরাসি দূতাবাস বলেছে যে তারা সাবধানতা হিসাবে ভিসা পরিষেবা বন্ধ করছে।

হাইতিতে গ্যাং সদস্যদের সন্ত্রাসবাদ বরাবরই বড় সমস্যা। গত জানুয়ারিতে জাতিসংঘ বলেছে, গত বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে হাইতির গ্যাং সহিংসতার শিকার হয়েছে ৮ হাজার ৪০০ এরও বেশি মানুষ।

২০২১ সালে হাইতির প্রেসিডেন্ট জোভেনাল মোইসকে তার বাসভবনে হত্যার পর থেকে সহিংসতা ব্যাপক মাত্রায় ছড়িয়ে পড়েছে। জোভেনাল হত্যাকাণ্ডের পর হাইতিতে কোনো প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়নি। প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি ভারপ্রাপ্ত হিসেবে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ২০১৬ সাল থেকে হাইতিতে কোনো নির্বাচন হচ্ছে না। হাইতির রাজনৈতিক শূন্যতায় সন্ত্রাসবাদ আরও বেড়ে গেছে।

সারাবাংলা/আইই

জিমি চেরিজিয়ার জোভেনাল মোইস টপ নিউজ পোর্ট অব প্রিন্স হাইতি

বিজ্ঞাপন

৭ বছর পর মা-ছেলের সাক্ষাৎ
৮ জানুয়ারি ২০২৫ ১৬:৩৮

আরো

সম্পর্কিত খবর